News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
আপডেট: ১৪:১৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ভাইরাল ছবির চার নারীর কেউই মুক্তিযোদ্ধা নন, মূল ছবি ১৯৬১ সালের

ভাইরাল ছবির চার নারীর কেউই মুক্তিযোদ্ধা নন, মূল ছবি ১৯৬১ সালের

চার নারী মুক্তিযোদ্ধা বলে প্রচারিত ভাইরাল ছবিটি তোলা ১৯৬১ সালে। ছবি: সংগৃহীত

বন্দুক ও গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল ধরে একটি গাড়িতে বসা চার নারীর দুটি ছবির একটি কোলাজে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। তবে এই ছবির কেউই মুক্তিযোদ্ধা নন। এমনকি এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ছবিও নয়। ফ্যাক্টচেক নিয়ে কাজ করা রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

অনুসন্ধ্যানে দেখা গেছে, গাড়ীতে বসা চার নারীর ভাইরাল কোলাজ ছবিতে থাকা নারীরা মুক্তিযোদ্ধা নন এবং কোলাজ ছবিতে থাকা সাদাকালো ছবিটি ১৯৭১ এবং রঙিন ছবিটিও ২০২১ সালে তোলা নয়। সাদাকালো ছবিটি ১৯৬১ এবং ওই ছবির অনুরূপভাবে রঙিন ছবিটি ২০১৭ সালে তোলা।

ওই চার নারীর রঙিন ছবিটি তোলা ২০১৭ সালে। তবে ফেসবুকে ২০২১ সালের ছবি বলা হচ্ছে।

মূলত, ষাটের দশকে একটি পরিবারের চার নারীর গাড়িতে বসে তোলা একটি ছবি এবং ২০১৭ সালে ওই ছবির অনুরূপভাবে তোলা ছবি কোলাজ করে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে প্রচার করা হয়। তবে ওই ছবিতে থাকা নারীদের পরিবার তাদের মুক্তিযোদ্ধা দাবির বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে নিশ্চিত করেছেন। সাদকালো ছবিটি ১৯৬১ সালের এবং ছবিটি তোলেন আমিন উদ্দিন আহমেদ নামে একজনের পিতা।

জানা যায়, মানিকগঞ্জের জাহাজ ব্যবসায়ী শামসুদ্দীন আহমেদের ছিল শিকারের নেশা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শিকারে যেতেন তিনি। তেমনই এক শিকারে গিয়ে বা শিকার থেকে ফেরার পর তার মেয়ে ও ছেলেবউরা বন্দুক নিয়ে খোলা জিপে বসে ছবি তুলেছিলেন। ষাটের দশকের এই ছবিই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

সাদাকালো ছবিতে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসা নারীর নাম আয়েশা রহমান। তিনি শামসুদ্দীন আহমেদের মেয়ে। সামনে তার পাশেই বসা শামসুদ্দীন আহমেদের ছেলের বউ রোকেয়া আহমেদ। আর পেছনে অন্য দুজন হলেন শাহানারা আহেমদ ও রাশিদা আহমেদ, তারাও ছেলের বউ। রোকেয়া ও রাশিদা মারা গেছেন। আয়েশা থাকেন লন্ডনে। শাহানারা দেশেই আছেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়