প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেল নামিবিয়া

নামিবিয়ার ক্ষমতাসীন দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকা পিপলস অর্গানাইজেশনের (এসডব্লিউএপিও) নেত্রী তুম্বো নান্দি নাদাইতওয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি হবেন নামিবিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।

গত মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দেশটির নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করে। রয়টার্সের এক  প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  তার এই বিজয় এসডব্লিউএপিও-এর ৩৪ বছরের শাসনকাল আরও দীর্ঘায়িত করবে। ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পরে থেকে দলটি ক্ষমতায় রয়েছে।

নির্বাচনে নন্দি-নদাইতওয়া মোট বৈধ ভোটের প্রায় ৫৭ শতাংশ পেয়েছেন। প্রসিডেন্ট পদে জয়ী হতে হলে প্রার্থীদের ৫০ শতাংশের বেশি ভোট প্রয়োজন ছিল। বিজয়ী হওয়ার পর তিনি বলেন, 'নামিবিয়ান জনগণ শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে ভোট দিয়েছে।'

১৯৬০-এর দশকে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এসডব্লিউএপিও-তে যোগ দেন নন্দি নদাইতওয়া। সেসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আইপিসি (ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্যাট্রিয়টস ফর চেঞ্জ) পার্টির প্যান্ডুলেনি ইতুলা। যিনি ২৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।

এদিকে, নামিবিয়ার জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এসডব্লিউএপিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। দলটি ৯৬টি নির্বাচিত আসনের মধ্যে ৫১ টিতে বিজয়ী হয়েছে। আইপিসি ২০টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে থাকবে।

তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে 'ত্রুটিপূর্ণ' আখ্যা দিয়ে আদালতে ফলাফল চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছে আইপিসি।

গত ২৭ নভেম্বর ভোট অনুষ্ঠিত হলেও, কারিগরি ত্রুটি থাকার কারণে ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। কিছু এলাকায় ব্যালট পেপারের সংকটের কারণেও ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানো হয়েছিল।

এর আগে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, বেকারত্ব ও বৈষম্যের কারণে এসডব্লিউএপিও-র জয় নিশ্চিত ছিলোনা। তবে গ্রামাঞ্চলে দলের শক্তিশালী ভিত্তি এবং বয়স্ক ভোটারদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি আনুগত্য থাকায় তাদের জয় সহজ হয়েছে।

বিশ্লেষক রাক্কেল আন্দ্রেয়াস বলেছেন, 'অভিজ্ঞ রাষ্ট্রনায়ক নন্দি নদাইতওয়া বিভিন্ন গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তিনি দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত। স্বাধীনতার পর থেকেই তিনি নামিবিয়ার নেতৃত্বে আছেন এবং দেশ পরিচালনায় তিনি গভীর জ্ঞান রাখেন।'