News Bangladesh

নারী ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রেমিক-পরিবারের সদস্যের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন ঘণ্টায় ৬ জন নারী 

প্রেমিক-পরিবারের সদস্যের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন ঘণ্টায় ৬ জন নারী 

প্রতীকী ছবি

গত কয়েক দশকে যত নারী খুন হয়েছেন, তাদের খুনিদের অধিকাংশই কোনো না কোনো সময় তাদের ভালোবাসার মানুষ বা স্বজন ছিলেন। ভালোবাসার রহস্য বুঝি এখানেই! বিশ্বে প্রতি ১০ মিনিটে একজন নারী তার প্রেমিক কিংবা পরিবারের সদস্যের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন। এ হিসাব অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টায় ছয়জন এবং প্রতিদিন গড়ে ১৪০ নারী তাদেরই কোনো ঘনিষ্ঠ মানুষের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।
 
জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএনওমেন এবং মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর ইউএনওডিসির যৌথ প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু গত বছরই ৫১ হাজার ১০০ নারীকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। এদের ঘাতক ছিল তাদের প্রেমিক কিংবা পরিবারের কোনো সদস্য। এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৮০০।

জাতিসংঘের দুটি সংস্থাই জোর দিয়ে বলেছে, ‘সর্বত্র নারী ও কিশোরীরা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে এবং কোনো অঞ্চলই আর বাদ নেই। নিজেদের বাড়ি নারী ও মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান।’ এ বিষয়ে ইউএন ওমেনের উপনির্বাহী এক্সিকিউটিভের মতে, ‘সংকীর্ণ লৈঙ্গিক মনোভাব আর সামাজিক নিয়মের মতো স্থায়ী সামাজিক সমস্যাগুলো এর বড় কারণ। এসব হত্যাকাণ্ড নারীর ওপর ক্ষমতা প্রয়োগের সঙ্গে জড়িত।’

‘ফেমিসাইড ২০২৩ : ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নারীর হত্যার বৈশ্বিক পরিসংখ্যান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে ৮৫ হাজার ফেমিসাইডের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে আফ্রিকার দেশগুলোয় নারীদের ওপর এমন ঘটনা বেশি, নিহতের সংখ্যাও বেশি।

২০২৩ সালে আফ্রিকায় ২১ হাজার ৭০০ নারী ও মেয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ও স্বজনদের হাতে খুন হয়েছেন। যার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ঘটেছে প্রেমিক বা পরিবারের সদস্যদের হাতে। এশিয়ায় এ সংখ্যা ১৮ হাজার ৫০০, আমেরিকায় ৮ হাজার ৩০০ এবং ইউরোপে ২ হাজার ৩০০।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়