News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ২৭ আগস্ট ২০২০
আপডেট: ০৮:৫৫, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

৩৬ বছর আগে বঙ্গবন্ধুর মাজার নিয়ে প্রতিবেদন

৩৬ বছর আগে বঙ্গবন্ধুর মাজার নিয়ে প্রতিবেদন

আহমেদ মুসা

১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুর মাজারের ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তাব দিলে মাসিক নিপুণের প্রধান সম্পাদক তথা মূলব্যক্তি মোস্তাফা জব্বার সানন্দে সায় দেন। আমি তখন নিপুণের চিফ রিপোর্টার। বঙ্গবন্ধুর মাজারে প্রতিবেদন তৈরির কাজে গিয়েছিলাম আমি ও নাসির আলি মামুন, যাকে বলা হয় ক্যামেরার কবি।

এর আগে ১৯৭৯ সালের ১৫ আগস্ট সাপ্তাহিক খবর একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। তখন টুঙ্গিপাড়া গিয়েছিলেন খবরের বার্তা সম্পাদক বিশিষ্ট লেখক সাঈদ তারেক। ছবি তোলেন প্রখ্যাত ফটো সাংবাদিক লুৎফর রহমান বীনু। ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী মাজার জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন। প্রতিবেদন লেখার জন্য এর আগে আর কেউ গিয়েছিলেন কিনা জানা নেই।

আমাদের প্রতিবেদনটি অনেক আলোচিত হলেও কোথাও রেকর্ড তেমন নেই। তাই এখানে বিস্তারিত আলোচনা করব। এটি নিপুণে ছাপা হয় ১৯৮৪ সালের মার্চ সংখ্যায়। মূল প্রতিবেদন অক্ষত রেখে আগে-পরে কিছু বর্ণনা যোগ-বিয়োগ হয়েছে।

গোপালগঞ্জ থেকে টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার সবচেয়ে ভালো রাস্তা হলো নৌকা। কচুরিপানা ঠেলে বঙ্গবন্ধুর মাজারে যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। কোথায় থাকব, কী খাব এই নিয়ে খুব চিন্তা করছিলাম। দুর্গম এলাকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি তার নিজের এলাকায় আলাদা কিছুই করেননি।  চাইলে প্রথমেই আরো কত সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থা করতে পারতেন। তিনি হয়তো এ ধরনের স্বজনপ্রীতি করতে চাননি। সারাদেশের ভাগ্যের সঙ্গে তিনি নিজের এলাকার ভাগ্যও জুড়ে দিয়েছেন। তাই বাংলাদেশের অন্য গ্রামগুলোর মতোই টুঙ্গিপাড়া গ্রামে চোখে পড়ে কয়েকটি পরিবার ছাড়া বাকি সবার জীর্ণশীর্ণ অবস্থা। সেই আদি অকৃত্রিম গ্রাম। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতল বাড়িতে ঢোকার মুখেই তাঁর কবর।

সন্ধ্যাবেলা খুব নির্জন লাগছিল। অন্ধকার ঢিব ঢিব করছে। ঝিঁঝি পোকা ডাকছিল জোরে জোরে। কেমন যেন ভয়ার্ত পরিবেশ। কারেন্ট ছিল না তখন। প্রায়ই নাকি থাকে না। বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে তার মা-বাবার কবর। বাড়ির দরজায় গিয়ে আমরা ডাকলাম বৈকুণ্ঠকে। বৈকুণ্ঠ এই পরিবারের ঘরবাড়ি ও জমি-জমা দেখাশোনা করেন। ওপরতলার সব ঘর তালাবদ্ধ। নিচতলার দুটো রুমে টিমটিম করে হারিকেন জ্বলছিল। আমাদের ডাক শুনে অল্পবয়সী এক যুবক বের হয়ে এসে বললেন, ‘আপনারা কোত্থেকে আইছেন? বৈকুণ্ঠ দাদা তো নেই। বাড়ি চলে গেছেন। রাতে আমিই থাকি এই বাড়িতে।’

আমাদের উদ্দেশ্যের কথা শুনে যত্ন করে বসতে দিলেন তাঁর চৌকিতে। আমরা ডাক বাংলোয় গিয়ে থাকার কথা বললাম। তিনি আমাদের বলেন, ‘আপনারা বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আইসা অন্যখানে থাকবেন ক্যান? এইখানেই থাকবেন, খাওয়া-লওয়া করবেন। সব রুম বন্ধ, দাদা চাবি নিয়া গেছে। আপনারা আমার চৌকিতেই থাকবেন।’

এর ওপর আর কথা চলে না। এই ভালোবাসা উপেক্ষার সাধ্য কার! কিছু কিছু মানুষ এমনি হয়। খুব ভালো লাগলো তার সরল আহবান।

আমাদের মেজবানের নাম নির্মল বিশ্বাস। বৈকুণ্ঠের ছোট ভাই। বিয়ে করেননি। নিঝুম বাড়িতে একা একাই থাকেন। আমরা যাওয়ার অনেকক্ষণ পর কারেন্ট এলো। কিন্তু আগের সেই ভয়াবহ নির্জনতা আর ঘুচল না। নির্মলদা তখন নিচের অন্য এক রুমে আমাদের নিয়ে গেলেন। সেখানে ছোট্ট একটা টেলিভিশন দেখলাম। আর আছে কয়েকটা চেয়ার ও একটা চৌকি। তিনি একা একা থাকেন বলে কিছুদিন আগে শেখ হাসিনা ছোট্ট এই টিভি সেট কিনে দিয়েছেন। রাতে অনেক কথা হলো নির্মলের সঙ্গে। বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে স্মৃতিচারণা করলেন তিনি। খেয়ে-দেয়ে বাতি নেভানোর পর ভয়ার্ত সেই অন্ধকারটা আবার চেপে বসে। কোনো সাড়াশব্দ নেই লোকজনের। শিয়াল আর ঝিঁঝির ডাক ছাড়া কোনো শব্দই নেই। ঘুম আসছিল না আমাদের। একসময় মনে হচ্ছিল সারা বাড়ি যেন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। নাসির আলি মামুনকে বললাম, চলেন চুপি চুপি একটু বেড়িয়ে আসি। রাজি হলেন না। ভীতি আর ক্লান্তি অবসন্ন করে তুলেছিল আমাদের। কোনোরকম রাতটা গেল। সকালে ভালো করে দেখলাম বঙ্গবন্ধুর কবর। অত্যন্ত সাধারণভাবে বাঁধানো। তা-ও বাঁধানো হয়েছে বছর দুই আগে। এর আগে প্রায় সাত বছর ছিল একেবারে অনাবৃত। সেখানে যাওয়ার সাহসও অনেকে করেনি। নাসির আলি মামুন বিভিন্ন কায়দায় ছবি তুললেন বাড়ি ও কবরের। বিরাট কফিনটা ছিল একটা টিনের ঘরের ভেতরে। বের করে ছবি তোলা হলো। ইন্টারভিউ করলাম নির্মল বিশ্বাস ও এজিন মৌলভির। এজিন মৌলভি বঙ্গবন্ধুর গোসল ও জানাজার গুরুত্মপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

নির্মল বিশ্বাসের বর্ণনা
১৫ আগস্টের সকালে আমরা সবাই মিলে ভাত খাইলাম। বৈকুণ্ঠদা গোপালগঞ্জ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এই সময় সবাই বলাবলি করতে লাগল যে, বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলেছে। শুনে বৈকুণ্ঠদা পালিয়ে গেলেন। আমি রয়ে গেলাম। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হেলিকপ্টারে বঙ্গবন্ধুর লাশ এলো। প্রথমে রাখলো ডাকবাংলোর কাছে। সেখান থেকে আর্মির লোকেরা বাড়িতে লাশ নিয়ে এল। তখন থানার ওসি আমাকে সইরা যাইতে কইল। আমি গোলার ঘরে চুপ করে বসে রইলাম। সেখান থেকে সবকিছু দেখলাম। আর্মিরা আইসা কইল তাড়াতাড়ি মাটি দিতে। যে অবস্থায় আনছে সেই অবস্থায়ই মাটি দিতে। আমাদের এজিন মৌলভি সাব কইল যে, ‘না, মুসলমানের ছেলে গোছল না করাইয়া কবর দেওয়া যাবে না।’ তখন আর্মিরা প্রথমে দশ মিনিট সময় দিল। পরে আরো দশ মিনিট সময় বাড়াইয়া দেয়। তখন বৈকুণ্ঠদা ছিল না। দোকান থেকে ৫৭০ সাবান এনে তাঁকে গোছল করানো হলো। তারপর বঙ্গবন্ধু গ্রামের এক গরিব লোককে রিলিফের যে কাপড় দিয়েছিল সেই কাপড় এনেই তাকে দাফন করা হলো। সেই বাক্সতে চাক চাক রক্ত লেগেছিল। মাটি দিয়ে আর্মিরা হেলিকপ্টারে চলে যায়। আমরা বাক্সটা ভালো করে ধুইলাম। আর্মিরা চলে যাওয়ার পর প্রায় ৬০ জন পুলিশ এসে ক্যাম্প করে থাকতে শুরু করে। কবরের কাছে কাউকে যেতে দিত না। পুলিশের ওসি আমারে কইল, তুমি একটা গাছের ডাল কেটে কবরের ওপর দিয়ে রাখো। আমি দিয়া রাখলাম। ৬০ জন পুলিশ রাত-দিন ডিউটি দিত। কবর বাঁধানো হয়েছে বছর দুই আগে। এর আগে বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করা ছিল।

এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাইয়ের বউ (শেখ নাসের সাহেবের স্ত্রী) ইট দিয়ে ঘেরাও করে রেখে গিয়েছিলেন। যশোরের একজন আওয়ামী লীগ নেতা প্রথম দিকে বঙ্গবন্ধুর কবরের কাছে একটা বকুল ফুলের গাছ লাগিয়েছিলেন। এ জন্য পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। দুই বছর পর্যন্ত এখানে কড়া পাহারা ছিল। কবরও কাউকে জিয়ারত করতে দেওয়া হতো না। একবার কবরে অনেক ঝোপঝাড় হয়ে যাওয়ায় আমি ও মন্নাফ নামে একজন লোক সাফ করতে গিয়েছিলাম বলে পুলিশ আমাদের ধরে নিয়ে যায়। পরে অবশ্য ছেড়ে দিয়েছে। নেতাদের মধ্যে তিন বছরের ভেতর কেউ আসেনি।

বঙ্গবন্ধুর জানাজায় ২৫ জনের মতো লোক হয়েছিল। মানুষ আসছিল অনেক কিন্তু সবাইকে যেতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর প্রথম মিলাদ হয়েছিল মৃত্যুর তিনদিন পর। নাসের সাহেবের স্ত্রী চুপি চুপি এসে মিলাদ পড়ার জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন। যে কজন বঙ্গবন্ধুকে মাটি দিয়েছিলেন তাঁদের সেদিন আমরা খাইয়েছিলাম। খুব কষ্টের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া হয়েছিল। চারটি মুরগি ও একটি মাছ রান্না করেছিলাম। দুইশ টাকার মিষ্টি এনেছিলাম মিলাদের জন্য। তারপর থেকে আমার ভাই বৈকুণ্ঠ এই বাড়িতে রাতে আর থাকত না, আমি একা থাকতাম। কেউ ভয়ে আমার সঙ্গে থাকত না। অনেককে খাওয়ানোর বা টাকা দেওয়ার কথা বললেও থাকত না ভয়ে। সারা রাত আমার ভয়ে ভয়ে কাটত।’

এজিন মৌলভির কথা
মৌলভি সাহেবের পুরো নাম শেখ আব্দুল হালিম। লোকে তাঁকে ডাকে এজিন মৌলভি বলে। তিনি বঙ্গবন্ধুকে গোসল করিয়েছিলেন এবং তাঁর জানাজা পড়িয়েছিলেন। তাঁর বর্ণনা তুলে ধরলাম : ‘সেদিন ৮টার সময় থানার ওসি সাহেব আমাকে বলল, আপনি ১৩টি কবর খুঁড়ে রাখেন। আমি নিজে চিন্তা করলাম, ঐ বাড়িতে কোনো লোক নেই, সবাই পলাতক। আমি কয়েকজন লোককে ডেকে বঙ্গবন্ধুর কবরটাই খুঁড়ে রাখলাম। ভাবলাম, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আরো খুঁড়ব, বেলা ১২টার আগেই আমি বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গিয়ে তৈরি হয়ে থাকলাম। কতক্ষণ পর হেলিকপ্টারের শব্দ শোনা গেল। আমি বের হলাম না। তারপর ওরাই লাশ বাড়িতে নিয়ে আসল। তারপর মেজর সাহেব এসে বললেন, স্থানীয় মৌলভি কে আছেন তাঁকে একটু খবর দেন। আমি বের হয়ে এলাম। সালাম দিয়ে দাঁড়ালাম। মেজর বললেন, আপনি এখানকার মৌলভি? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আমরা শেখ মুজিবের ডেড বডি নিয়ে এসেছি এর ভেতরে। আপনি জানাজা করে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করেন। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইজ দ্য ডেড বডি অব শেখ মুজিবুর রহমান হ্যান্ডেড ওভার টু মি?  তখন তিনি বললেন, ইয়েস। আমি বললাম, আই শ্যাল সি হিজ ডেড বডি। তিনি বললেন, ডু ইউ নট বিলিভ মি? বললাম, আই বিলিভ ইট, বাট ফর মাই স্যাটিসফেকশন আই হ্যাভ টু সি হিজ ডেড বডি। তখন আর কী করবেন অন্যদের বললেন, দেখতে দাও তাঁকে। খুলে দিল। আমি দেখলাম ওপরে বরফ। বরফ ঠেলে দেখলাম তাঁর পরনের কাপড়ই পরা ছিলেন তখন অর্থাৎ লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি। গেঞ্জিও ছিল। সবগুলোই রক্তাক্ত। দেখে মেজর সাহেবের সামনে এসে বললাম যে, তাঁকে তো গোসল দেওয়া হয় নাই। গোসল না হলে জানাজা পড়া যায় না। তখন মেজর সাহেব বললেন, কেন বিনা গোসলে কি জানাজা পড়া যায় না? তখন আমি চিন্তা করলাম যে, যদিও একটা মছলায় জানাজা পড়া যায়, সেটা বলে লাভ নেই। তবুও বললাম, হ্যাঁ, একটা অবস্থা আছে, যে অবস্থায় বিনা গোসলে জানাজা পড়া জায়েজ আছে, এটা হবে ধর্মযুদ্ধে গিয়ে কেউ যদি শহীদ হন এবং কোনো কথা অছিয়ত না করে থাকেন তাহলে পড়া যায়। তখন গোসলের অনুমতি দিলেন। কয়েকজন লোক সেখানে দাঁড়ানো ছিল, আমি ডাকলাম। একটু গরম পানি আনলাম একখান থেকে। ৫৭০ একটা সাবান ও রেডক্রসের দানের কাপড় আনা হলো। অন্য কিছু পাওয়া যাচ্ছিল না। আমি খুব তাড়া করেই গোসল শেষ করলাম। আমি গোসল করাবার সময় দেখলাম আসল ক্ষতি করেছে মাত্র একটা গুলি; পেছন দিক থেকে পেটের বাম দিকে লেগে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গিয়েছিল। অন্য পাশে লেগেছে নয়টা গুলি। স্টেনগানের গুলি বলেই আমার মনে হয়েছে। পায়ের রগগুলো কাটা ছিল। আর যে আঙুলটা তিনি সভা-সমিতিতে উঁচিয়ে ধরতেন, সেই আঙুলটার অর্ধেক ছিল না। মুখ ঠিকই ছিল। জানাজায় প্রথমে ১০ জনের মতো ছিল। তারপর বহুদিন পর্যন্ত সমাধি এলাকায় কারফিউ ছিল। পালাক্রমে পাহারা দিয়েছে পুলিশ। তাড়াহুড়োর জন্য চাপ দেওয়ায় জানাজার সময় আমি এক পর্যায়ে বলেছিলাম যে, মুসলমানের লাশ গোসল ছাড়া জানাজা হয় না, কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া। সেটা তাদের বলেছি।’

এরপর এজিন মৌলভি আর তেমন কিছু বলতে চাইলেন না। আমরাও চাপ দিলাম না। আমার একসময় স্মরণ হয়, এখানে যিনি শুয়ে আছেন তাঁর কাছে আমার কিছু ব্যক্তিগত ঋণও আছে। সত্তরের নির্বাচনের আগে কলাবাগান মাঠে মাত্র একবার তার সঙ্গে হাত মেলাবার সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ওপর আমি নিজেই বড় একটি আস্থা-বিশ্বাস স্থাপন করেছিলাম। বড় হয়েছি বিহারী-পাঞ্জাবীদের সঙ্গে, প্রতিনিয়ত অপমান- লাঞ্ছনার ভেতর দিয়ে। মূলত তাঁর জন্যই মুক্তি পাই দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকত্ব থেকে। উপহার দেন স্বাধীনতা, মুক্তির মিছিলে প্রধানভাবে হাজির থেকে। পরম করুণাময় আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুন।

আমার প্রকাশিতব্য আত্মজীবনী থেকে সংগৃহীত।


আহমেদ মূসা, লেখক-সাংবাদিক-নাট্যকার।
সম্পাদক : সৃজনকাল, উপদেষ্টা সম্পাদক, সাপ্তাহিক বর্ণমালা।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়