ইমরুল নাকি স্পেশালিস্ট স্পিনার?
ঢাকা: স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর থেকেই দোটানার মধ্যে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট!
হ্যাঁ, বাংলাদেশ দলের আবহটা অনেকটা সেরকমই। টাইগারদের নতুন চিন্তা- সেরা একাদশে কাকে রেখে কাকে বাদ দেয়া হবে। সোমবার অ্যাডিলেডে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলায় একজন স্পেশালিস্ট স্পিনার খেলানো হবে, নাকি বাড়তি একজন ব্যাটার নামানো হবে? এটাই এখন দলের মূল স্তবগান। নির্বাচকদের পেরেশানের নাম।
চোট পাওয়া এনামুল হক বিজয়ের বিকল্প হিসেবে তিন দিন আগে অ্যাডিলেডে পৌঁছেছেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। দুটি নেট প্রাকটিসেও অংশ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কায়েসকে নামানোর ঝুঁকি নেয়া কি ঠিক হবে?
এদিকে দলীয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আবার বোলিং ব্রিগেড নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। কারণ টানা দুটি ম্যাচে ৩০০ এর বেশি রান খরচ করেছে বাংলাদেশ বোলাররা। সেজন্য আরাফাত সানিকে সেরা বিকল্প হিসেবে দৃষ্টিসীমায় আনছেন শিবিরের প্রধান সেনাপতি।
রোববার মাশরাফি বলেন, “আগের মতোই ইংল্যান্ড ম্যাচে একজন স্পেশালিস্ট স্পিনার খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য কন্ডিশনই এক্ষেত্রে মুখ্য বিবেচনার বিষয়। দলীয় কম্বিনেশনের কথাও মাথায় রাখতে হবে। মাঠে একজন অতিরিক্ত স্পিনারের অভাববোধ করছি আমি। যদিও কন্ডিশন কখনো বিষয়টিকে সমর্থন করে না। কিংবা দলীয় কম্বিনেশন বিষয়টির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমরা নিজেদের সেরা দলটাই নির্বাচন করার চেষ্টা করব, যা ইংল্যান্ডের জন্য কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারবে।”
সংযুক্তি হিসেবে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ আরো বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম এই কন্ডিশনে আমাদের জন্য উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখা সহজ কোনো বিষয় নয়, খাপও খায় না। সেজন্য আমাদের এমন একটি দল চূড়ান্ত করতে হবে যা প্রতিপক্ষকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ফেলতে পারে। সবেমাত্র ইমরুল দলে যোগ দিয়েছে। নেটেও অংশ নিয়েছে। অবশ্যই তার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করব সে আত্মবিশ্বাসের সহিত খেলতে পারবে। এটা তার জন্য ভালো সুযোগ। কেননা প্রাথমিকভাবে সে দলে ছিল না। সুতরাং এখন সে ভালো কিছু করে দেখাতে পারে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফকে/এমএম
নিউজবাংলাদেশ.কম