আমিরাতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বড় জয়
ঢাকা: আইসিসির ক্রিকেট বিশ্বকাপে টানা দুই হারের পর টানা দুই ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘাম ঝরানো জয়ের পর বুধবার তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১২৯ রানের বড় ব্যবধানে হারায়। টানা দুই জয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখলো মিসবাহ বাহিনী।
বুধবার ন্যাপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আহমেদ শেহজাদ, শোয়েব মাকসুদ ও অধিনায়ক মিসবাহ-উল হকের অর্ধশতকে বিশ্বকাপ আসরে প্রথমবার তারা ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আরব আমিরাত। লক্ষ্যের ধারে কাছে পৌঁছাতে না পারা দলটি ৮ উইকেটে ২১০ রান করে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪০ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দিক হারায় আরব আমিরাত। প্রথম ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৫ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে আমিরাত। এরপর দলের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তারা। সাইমুন আনোয়ার ও খুররম খানের জুটিতে ম্যাচের একটি মুহুর্তে জয়ের স্বপ্নও দেখতে থাকে উপসাগরীয় দেশটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন আর বাস্তবে রূপ নেয়নি।
তবে বুধাবারের ম্যাচের পর এবারের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন আমিরাতের সাইমন আনোয়ার। সতীর্থ খুররম বিদায় নিলেও দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আনোয়ার। তিনি ৬২ রানের ইনিংস খেলে শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারাকে পেছনে ফেলে শীর্ষ রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষে উঠেছেন। আনোয়ারের সংগ্রহ ২৭০ আর সাঙ্গাকারার ২৬৮ রান। সপ্তম উইকেটে আমজাদ জাভেদ ও স্বপ্নিলের ৬৮ রানের জুটিতে দুইশত রান ছাড়িয়ে যায় তারা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নাসির জামশেদকে হারায় পাকিস্তান। আগের তিন ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ব্যর্থ পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। চতুর্থ ওভারেই বিদায় নেন নাসির জামশেদ। মানজুলা গুরুগের বলে খুররম খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
এরপর ওপেনার আহমেদ শেহজাদের সঙ্গে ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে শক্ত জুটি গড়েন হারিস সোহল। এ দুই ব্যাটসম্যানের ১৬০ রানের জুটি বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
হারিস ৭০ ও শেহজাদ ৯৩ রানে বিদায় নেন। মাত্র ৭ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হওয়া শেহজাদ ১০৫ বলের ইনিংসটি ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় গড়েন তিনি। পাকিস্তানের দলীয় রান তখন ৩২.৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১৭৬। এরপর শেষ ১৬ ওভারে তারা ১৬৩ রান যোগ করে।
এরপর শোয়েব মাকসুদ ৪৫ ও অধিনায়ক মিসবাহ ৬৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আফ্রিদি ৭ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। আরব আমিরাতের সেরা বোলার গুরুগে। ৫৬ রানে চার উইকেট নেন এই পেসার।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/একে
নিউজবাংলাদেশ.কম