প্রিভিউ
নিউজিল্যান্ডের প্রথম নাকি অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম?
ঢাকা: ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের পারফরম্যান্স দুরন্ত, কিন্তু অস্ট্রেলিয়া একেবারে নিখুঁত। এই বিশ্বকাপে এখনো অপরাজিত ব্লাক ক্যাপসরা, অন্যদিকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে বহুদর্শী অসিরা। দুই দলেই প্রতিভার ছড়াছড়ি। তবে শেষ বিচারে দুই তাসমানিয়ান প্রতিপক্ষই এমসিজিকে আলোকিত করার ক্ষমতা রাখে; মেলবোর্নে হাসতে পারে শিরোপা হাসি।
মার্টিন ক্রো অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার রবিবারসীয় ফাইনালকে ‘দুই ভাই’য়ের লড়াই বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ময়দানি ডুয়েলের আগে দুই দলের আচরণ ও মানসিকতায় তার ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না। এখন পরিস্থিতি অনেকটা এমন যে, এটা দুই সৎ ভাইয়ের লাঠালাঠির রূপ নিয়েছে। সেজন্য অসি ও কিউইরা শ্রেষ্ঠত্ব দখলের আগে একে অপরকে আক্রমণে বিদ্ধ করছে, তিক্তকর মন্তব্যে নষ্ট করতে চাইছে মনযোগ।
এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় বিস্ময় প্যাকেজ সহ-আয়োজক নিউজিল্যান্ডের পারফরম্যান্স। ঘরের মাঠে ‘ডার্ক হর্স’ হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরুর পর সুগন্ধী ফুল হয়ে ফুটেছে কিউইরা। সেটা ব্যাটে-বলে নিজেদের চমৎকার পারফরম্যান্স অনুবাদেই। ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের উপস্থিতি এই দলটাকে আরো আগ্রাসী করে তুলেছে। উইলো হতে বি-ম্যাকের আগ্রাসনের সাথে ফিল্ডিং ও বোলিংয়ে খুনে মানসিকতা নিউজিল্যান্ডকে ভয়ংকর এক দলে পরিণত করেছে।
কিন্তু কিউইরা যখন ক্রিকেটের নতুন বিজ্ঞাপন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া সেখানে অনেক আগেই ছাউনি পেতে অপেক্ষমান। বহুদিন সেটাই তাদের জীবন দর্শন। ক্ষুরধার মস্তিস্কের অধিকারী মাইকেল ক্লার্ক অতীতে অনেক ভয়ংকর ব্যাটসম্যানদের পাওয়ার প্লে’তে নিস্ক্রিয় করে রেখেছেন। সুতরাং ম্যাককুলাম ও গাপটিলরা যে সেই বন্ধনে আটকা পড়বেন না কীভাবে তার গ্যারান্টি দেবেন? এর সাথে যোগ করুন একটি ‘ফাস্ট ও ফিউরিয়াস’ বোলিং অ্যাটাক।
তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার হোম রেকর্ডটাও খুব উজ্জল। দেশের মাটিতে সর্বশেষ ২৬ ওয়ানডেতে ২৪টি জিতেছে তারা। বিশ্বকাপের চারবারের চ্যাম্পিয়ন অসিরা। সেখানে নিউজিল্যান্ড নতুন কুঁড়ি। বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমবারের মতো খেলতে নামবে তারা। ঘরের মাঠ থেকে বাইরে বের হয়ে তারা কী আবারো আগ্রাসন দেখাতে পারবে? ঘোচাতে পারবে বিশ্বকাপ ট্রফির খরা? নাকি মেলবোর্নের সবুজ গালিচায় অস্ট্রেলিয়া রেকর্ড পঞ্চমবার বিশ্বকাপ জেতার কৃতিত্ব স্থাপন করবে?
অবশ্য ফাইনালের আগে দু দলই আত্মবিশ্বাসী। শনিবার প্রাক ফাইনাল সংবাদ সম্মেলনে মাইকেল ক্লার্ক বলেন, “এই টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড একবার আমাদের হারিয়েছে। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারি তাহলে জয় নিয়ে ভাবতে হবে না।” অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম বলছেন, “বিশ্বকে ব্যাট-বলে আগ্রাসী ব্রান্ডের ক্রিকেট উপহার দিতে চাই আমরা। কারণ, অনেক মানুষের হৃদয় নিঃড়ানো ভালোবাসা ও বিশ্বাসকে সঙ্গী করেই ফাইনালে এসেছি আমরা।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফকে
নিউজবাংলাদেশ.কম