News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:০২, ২ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৮:৫০, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

সংসদে বীরেন শিকদার

বছরে অর্ধ কোটি টাকা আয় করেন সাকিব-মুশফিকরা

বছরে অর্ধ কোটি টাকা আয় করেন সাকিব-মুশফিকরা

ঢাকা: সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমসহ বাংলাদেশের জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার বছরে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা আয় করেন বলে সংসদে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী বীরেন শিকদার। মাসিক বেতন, আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ম্যাচ ফি অনুযায়ী এ টাকা তারা বিসিবির মাধ্যমেই পেয়ে থাকেন বলে জানান তিনি।  
 
সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
 
মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) মাধ্যমে আয়োজিত বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ বাবদ প্রাপ্ত অর্থ এবং স্থানীয় মিডিয়া রাইটস ও টিম স্পন্সরসহ অন্যান্য স্পন্সর হতে অর্জিত অর্থ দ্বারা বোর্ডের সার্বিক ক্রিকেট কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
 
তিনি জানান, বর্তমানে বিসিবির ১৪ জন চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় রয়েছেন। এদের মাসিক বেতন ‘এ+’ গ্রেডে ২ লাখ টাকা। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৪ জন। ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পান ‘এ’ গ্রেডে একজন পান বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার। ‘বি’ গ্রেডের ৩ জন বেতন পান ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে। ‘সি’ গ্রেডের বেতন ৯০ হাজার, পান ৩ জন। এছাড়া ‘ডি’ গ্রেডে ৩ জন পান ৬০ হাজার করে।  
 
মন্ত্রী আরও জানান, আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণ বাবদ জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটারদের বোর্ড  থেকে ম্যাচ ফি প্রদান করা হয়। এ ম্যাচ ফির হার টেস্ট ম্যাচে ২ লাখ, একদিনের ম্যাচে ১ লাখ এবং টি ২০ ম্যাচে ৭৫ হাজার টাকা। এছাড়া বোর্ডের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত প্রথম শ্রেণির (লংগার ভার্সন) জাতীয় লীগে অংশগ্রহণ বাবদ প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ম্যাচ প্রতি ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা ম্যাচ ফি প্রদান করা হয়।
 
তিনি  বলেন, ‘বিদেশি কোচদের বেতন ভাতাদি বাবদ মাসিক আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা খরচ করা হয়। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া বিভিন্ন ক্রিকেট সিরিজ ও টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে গত আথিক বছরে ব্যয় হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা।’
 
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৫ অংশগ্রহণকে বিবেচনায় এনে প্রধান কোচ হিসেবে চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে, ফিল্ডিং কোচ হিসেবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলের সাবেক ফিল্ডিং কোচ রিসার্ড হালসাল, বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক, স্পিন বোলিং কোচ রুয়ান কালপেগে এবং  ফিটনেস ট্রেইনার হিসেবে মারিওকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসব বিশেষজ্ঞ কোচদের তত্ত্বাবধানে বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য সেখানে উল্লেখযোগ্য সময় কন্ডিশনিং ক্যাম্প করা হয়।
 
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/এজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়