শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য ২৪৭
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে জ্বলে উঠেছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম ম্যাচেও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যাট করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। মঙ্গলবার মিরপুরে টাইগারদের কঠিন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ব্যাট হাতে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি উপহার দেন মুশফিক।
তার সেঞ্চুরিতে ৪৮.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪৬ রান। ফলে এই ম্যাচ জিততে লঙ্কারদের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৪৭। বৃষ্টি স্ন্রাত দিনে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ইনিংসে দুইবার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’কারণে মিরপুরের আকাশে মেখ উকি দিচ্ছে। ফলে বৃষ্টি ভেজা উইকেটে লঙ্কানদের জন্য এই রানও কঠিন চ্যালেঞ্চ হতে পারে!
এর আগে বিপর্যয়ের মুখে একপ্রান্ত আগলে রাখার পাশাপাশি অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের এটি অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। মুশফিক তার সেঞ্চুরির ইনিংসটি মাত্র ৬ চারে সাজিয়েছেন। বল খেলেছেন ১১৪টি। অপরপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে নিজেকে অনেকটা সময় খোলসে গুটিয়ে রাখেন তিনি। মনোযোগ দেন স্ট্রাইক বদলের দিকে। ফলে উইকেট হারালেও খুব বেশি বিপর্যয়ে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশফিক বিদায়ের পর ১২৫ রান করেন। তার ইনিংসে ১২৭ বলে ১০ বাউন্ডারিতে এই রান করেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২৫ মে) খেলা শুরু হয় দুপুর ১টায়। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ফিরে যান তামিম ইকবাল। ইনিংসের প্রথম ওভারে ৩টি চারে ১৩ রান করা আক্রমণাত্মক তামিম দ্বিতীয় ওভারে আসা দুশমন্থ চামেরার প্রথম বলেই এলবির ফাঁদে পড়েন। একই ওভারের চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত শূন্য রানে এলবি হয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব।
তামিম-সাকিবের দ্রুত বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন লিটন দাস। তবে ১২তম ওভারে এসে ধৈর্য হারান এই ওপেনার। লক্ষণ সান্দাকানের সাধারণ মানের বলটি শর্টে ফিল্ডিং করা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে তুলে দেন। ৪২ বলে ২টি চারে ২৫ রান করেছেন লিটন।
লিটন বিদায় নেওয়ার পর মুশফিককে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন মোসাদ্দেক। সান্দাকানের বলে লেগ সাইডে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক কুশল পেরেরার তালুবন্দি হন মোসাদ্দেক (১০)। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মুশফিকের সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৮৭ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ৫৮ বলে ব্যক্তিগত ৪১ রানে স্কুপ করতে গিয়ে সান্দাকানের শিকার হন তিনি। ব্যাটিংয়ে থাকা মুশফিক অবশ্য ব্যাক টু ব্যাক হাফসেঞ্চুরির দেখা পান।
রিয়াদের বিদায়ের পর আরও একবার বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। পরপর দুই ওভারের ব্যবধানে বিদায় নেন আফিফ হোসেন ধ্রুব (১০) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (০)। এমন চাপের মাঝে সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মুশফিক। ধীরেসুস্থে খেলে তুলে নেন সেঞ্চুরিও। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৮৪ রান।
প্রথম ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতবে টাইগাররা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস