অনন্য মাইলফলকের হাতছানি টাইগারদের
ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে চলতি সিরিজে অনন্য এক মাইলফলক হাতছানি দিয়ে ডাকছে টাইগারদের। প্রথম ম্যাচের ধারাবাহিকতায় আর মাত্র একটি ম্যাচ নিজেদের করে নিতে পারলেই প্রথমবারের মত লংকানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় হবে লাল সবুজের দল। যা বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এই সুযোগ তাদের সামনে আগেও এসেছে। ২০০২ সাল থেকে এই সিরিজের আগ পর্যন্ত দেশে বিদেশে দুই দল মোট ৮টি সিরিজ খেলেছে। যেখানে ৬ সিরিজেই জয়ের উল্লাসে ভেসে মাঠ ছেড়েছে লংকানরা। বাকি দুটি সিরিজ হয়েছে ড্র। ২০১৩ সালের মার্চে লংকায় তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে খেলতে গিয়েছিল সফরকারি বাংলাদেশ।
সেবার সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় ওয়নেডে নির্বিঘ্নে গড়ালেও দ্বিতীয় ম্যাচটি ৫ ওভার শেষে বৃষ্টি বাঁধায় পণ্ড হয়। ওই সিরিজে মুশফিকরা প্রথম ওয়ানডে হারলেও তৃতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজে সমতায় আনে। কাকতালীয়ভাবে ২০১৭ সালে টাইগারদের শ্রীলংকা সফরের ওয়ানডে দ্বিতীয় ম্যাচটিও ভেসে গিয়েছিল।
এই ম্যাচে অবশ্য নিজেদের পুরো ইনিংসেই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন উপল থারাঙ্গারা। কিন্তু বাংলাদেশের ইনিংস পণ্ড হয় বৃষ্টির দাপটে। ওই সফরে মাশরাফিরা প্রথম ম্যাচটি জিতলেও হেরেছিল তৃতীয়টি। বৃষ্টির কারণে সিরিজ ড্রয়ের সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরেন মাশরাফিরা।
রোববার (২৩ মে) সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা ব্যাটে-বলে যে দলগত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তা পরের দুটোতেও ধরে রাখতে পারলে লংকনদের বিপক্ষে সিরিজ জয় তো বটেই হোয়াইটওয়াশও অসম্ভব হবে না। কিন্তু বাস্তবতা হল, স্বাগতিক দল যখন দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ জয়ের তিলক ললাটে আঁকতে চোয়ালবদ্ধ ঠিক তখন সিরিজে ফিরতে মরিয়া অতিথি দল। প্রথম ম্যাচে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় ২৫৮ রানের সহজ লক্ষ্যও ছোঁয়া হয়নি।
প্রথম ম্যাচের নিশ্চয়ই তাদের হৃদয়ে দগদগে। সন্দেহাতীতভাবেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে খেলবেন মিকি আর্থারের শিষ্যরা। যদিও এই মিশনে দলের সিংহভাগ সদস্যকেই ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে দেখা যায়নি। হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই-বাংলায় ঐচ্ছিক অনুশীলনে এসেছিলেন দলের তিন সদস্য।
অন্যদিকে প্রথম ম্যাচ জিতে আজ বিশ্রামে ছিলেন টিম বাংলাদেশ। জৈষ্ঠের এই তীব্র দাবাদহে ম্যাচ খেলে লংকানরাও নিশ্চয়ই ক্লান্ত। কিন্তু হারের গ্লানি মুছে ঘুরে দাঁড়াতে ছুটে এসেছেন অনুশীলনে। তাতে টিম বাংলাদেশের দুর্ভাবনার কোন কারণ নেই। কারণ দলটি শ্রীলংকা হলেও এখানে সেই মুরালি, ভাস, আর্নল্ড কিংবা জয়সুরিয়ারা নেই।
যারা আছেন বয়সে তরুণ। কাজেই আগে না হলেও অনন্য সেই মাইলফলটি এই সিরিজেই ছোঁয়া যাবে সেই আশা করাই যায়। আবার অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে কখন কী হয়ে যায় সেটাই বা কে জানে। ২৫ মে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচটি গড়াবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস