News Bangladesh

স্পোর্টস রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:২২, ২৩ মে ২০২১
আপডেট: ২১:৫৬, ২৩ মে ২০২১

জয় দিয়েই শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু টাইগারদের

জয় দিয়েই শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু টাইগারদের

জয় দিয়েই শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু করলো টাইগাররা। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রোববার মিরপুরে সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে ৩৩ রানে হারিয়েছে তামিম ইকবালের টিম বাংলাদেশ। এ জয়ের ফলে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। একই ভেন্যূতে সিরিজের দ্বিতীয় দিবা-রাতের ওয়ানডে ম্যাচটি আগামী মঙ্গলবার।
টাইগারদের দেয়া লো স্কোর ২৫৮ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.১ ওভারে ২২৪ রানে অলআউট হয় লঙ্কানদের ইনিংস। দলীয় ৩০ রানে মিরাজের আঘাতে প্রথম উইকেটে হারায়। এরপর মিরাজের সাথে মোস্তাফিজের অসাধারণ বোলিংয়ে দলীয় ২৩.১ ওভারে ১০২ রানে ৬ উইকেটে হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপদে পড়ে দলটি।  ওপেনার কুশল পেরেরা (অধিনায়ক) ৩০, দানুশকা গুনাথিকালা ২১ ও  কুশল মেন্ডিস সর্বোচ্চ ২৪ রান করে ফেরেন।
দলের কঠিন বিপদে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ইশুরু উদানা দারুণ জুটি গড়ে দলকে এড়িয়ে নেন। উদানা ব্যক্তিগত ২১ রানে মোস্তাফিজের বলে বিদায় নিলে কিছুটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন হাসারাঙ্গা। দ্রতই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। অবশেষ দলীয় ২১১ রানের মাথায় সাইফউদ্দিনের বলে বিদায় নেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৬০ বলে তিনটি বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৭৪ রান করেন। শেষ মহুর্তে লঙ্কান আর কোন ব্যাটসম্যান মোস্তাফি-সাইফউদ্দিনের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। বল হাতে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ১০ ওভারে মাত্র ৩০ রানে শিকার করেন চার উইকেট। এছাড়া মোস্তাফিজ তিনটি ও সাইফউদ্দিন নেন দুটি উইকেট।
এর আগে মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫৭ সংগ্রহ করে । ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ তামিম-মুশফিক ও রিয়াদ ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি। ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিয়েছেন লিটন দাস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দুষ্মন্থ চামিরার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছোঁয়াতে গিয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা ধঞ্জনয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। 
এরপর ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে লঙ্কান পার্ট-টাইম বোলার গুনাথিকালার স্লোয়ারে হাঁকাতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ১৫ রানের ইনিংস খেলে ধরলেন সাজঘরের পথ। বিদায়ের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ১৫ রান, বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ২টি। 
লিটন-সাকিবের বিদায়ের পরও ইনিংসের ৩৩তম ওভারে বিদায় নেন তামিম ও মিঠুন। এর আগে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার করা ২৩তম ওভারের পঞ্চম বলে তামিম এলবির ফাঁদে পড়েন। তামিম ৭০ বলে ৬টি চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করেন। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫১তম হাফসেঞ্চুরি। তবে পরের বলেই স্কুপ করতে গিয়ে মোহাম্মদ মিঠুন শূন্য রানে ফিরে যান। 
দলীয় ৯৯ রানে চার উইকেটে হারানোর পর মশফিকের সাথে দারুণ জুটি গড়েন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের জুটিতে বাংলাদেশ বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখে। ব্যাক্তিগত হাফসেঞ্চুরির পর মুশফিক সেঞ্চুরির করার সুযোগ পায়। কিন্তু দলীয় ২০৮ রানে নিজের ভুলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মুশফিক। ৮৭ বলে চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৮৪ রান করে বিদায় নেন তিনি।
সতীর্থকে হারিয়ে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রিয়াদ। কিন্তু এরপর নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেনি। ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে রিয়াদ বিদায়ের পর বাংলাদেশের রানের চাকা থেকে যায়। ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ৪৭.১ ওভারে ২৩০। শেষ মুহুর্তে আফিফ হোসেন ২৭ ও সাইফউদ্দিনের অপরাজিত ১৩ রানে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৫৭।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়