বাংলাদেশের হারের নেপথ্যে
ঢাকা: গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নামবে নিউজিল্যান্ড। চলতি টুর্নামেন্টে টানা ছয় জয় তুলে নিয়েছে তারা। কিন্তু গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ভালোই লড়াই চালিয়েছে। শুক্রবার হ্যামিল্টনে সেডন পার্কে কিউইদের বড় চাপের মধ্যে ফেলেছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-সাকিব আল হাসানরা। এক পর্যায়ে জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল। যদিও ম্যাচের শেষে গিয়ে লক্ষ্যচ্যুত হয় টাইগাররা। নাটকীয় ম্যাচে হার মানে ৩ উইকেটের ব্যবধানে।
এমন হারের পর বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তদের মনে কোনো খেদ নেই। বরং গর্বে অনেকেই কাঁধ চাপড়ে দিচ্ছেন ক্রিকেটারদের। প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা রিয়াদের কিংবা চার উইকেট নিয়ে কিউইদের চেপে ধরা বোলার সাকিব আল হাসানের। নাসির হোসেনকেও বাহবা দিচ্ছেন অনেকে। তারপরও অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগবে কেন হারল বাংলাদেশ?
৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ডেনিয়েল ভেট্টোরির ক্যাচটি নাসির হোসেন যদি তালুবন্দি করতে পারতেন তাহলে ম্যাচের ভাগ্যরেখায় কী কোনো পরিবর্তন আসত? কিংবা অধিনায়কত্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে একটু রকমফের। ইস, সাকিবের জায়গায় যদি রুবেল হোসেন বোলিংয়ে আসতেন। আর আবার আরেকবার রূপকথার মতো কয়েকটি ডেলিভারি দিতেন!
এসব যদি-কিন্তুর হিসাব বাদ দিন। সেজন্য বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে বাস্তববাদী মনে হলো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেও দলীয় পারফরম্যান্সে বেশ খুশি মনে হলো দেশসেরা ক্রিকেটারকে। এদিন ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বললেন, “আমার মনে হয় ভালোই খেলেছি আমরা। বিশেষত আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি। মাহমুদউল্লাহ, সৌম্যসহ দলের সবাই ভালো খেলেছে। আসলে এই ম্যাচ থেকে অনেক ইতিবাচক বিষয় গ্রহণ করতে পারি আমরা। সেজন্য আশা করছি কোয়ার্টার ফাইনালে এটা আমাদের ভালো কিছুর তাগাদা দেবে।”
এরপর দুরন্ত ফর্মে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে প্রশংসায় ভাসান সাকিব। তিনি বলেন, “মাহমুদউল্লাহ দারুণ ফর্মে আছে। কিন্তু এটা ধরে রাখতে হবে তাকে।” আর বোলিংয়ের সময় যে একজন বোলারের অভাব করেছেন সেটাও অকপটে স্বীকার করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বলেন, “একজন বোলার কম থাকলে বোলিং অ্যাটাক সাজানো বেশ কঠিন। কারণ, নিউজিল্যান্ড ম্যাচে পাঁচ নিয়মিত বোলার ছিল না আমাদের। ম্যাচে প্রতিপক্ষের ওপর সবসময় চাপ ধরে রাখতে চেয়েছি আমরা, যদিও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফকে
নিউজবাংলাদেশ.কম