News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:৪১, ২ জুন ২০২০
আপডেট: ০৪:২৬, ৫ জুন ২০২০

বিশ্বকাপ জিতলেও সেই উদযাপন আর হবে না: তামিম

বিশ্বকাপ জিতলেও সেই উদযাপন আর হবে না: তামিম

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন তামিম ইকবালের বয়স মাত্র ৮ বছর। অন্যান্য আট-দশটা ছেলের মতো হলে হয়তো, তখনকার উদযাপন সম্পর্কে অনেক কিছুই মনে থাকতো না তার।

কিন্তু সেই চ্যাম্পিয়নশিপ উদযাপনের কেন্দ্র ছিলো তাদেরই বাড়ি, তখন তো কোনকিছু ভোলারই কারণ নেই তামিমের। একদম হুবহু সবই মনে আছে তার। চাচা আকরাম খানের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ফলে তামিমদের কাজীর দেউড়ীর বাড়িটিই ছিল সকলের উদযাপনের মূল কেন্দ্র।

সেই ছোট্ট বয়সে যে উদযাপন দেখেছেন তামিম, তা আর কোনকিছুর সঙ্গেই মিলবে না বলে মনে করেন তিনি। এমনকি বাংলাদেশ যদি সামনে বিশ্বকাপও জিতে নেয়, তবু আইসিসি ট্রফির সেই উন্মাদনার সমান হবে না বলে জানিয়েছেন তামিম।

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর সঙ্গে এক ভিডিওকাস্টে এ কথা জানিয়েছেন তামিম। নিজের খেলোয়াড়ি জীবন শুরুর ব্যাপারে বলতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে আইসিসি ট্রফি জয়ের সেই ঘটনা। তখনই তামিম বলেছেন তখনকার উদযাপনের ব্যাপারেও।

তিনি বলেন, আমার জন্য ক্রিকেটে আসা খুবই সহজ বিষয় ছিল। আমি যেখানে বড় হয়েছি চট্টগ্রামে...আমার পরিবার যৌথ পরিবার। আমরা চাচা-ফুপুরা সবাই একসঙ্গে থাকতাম। আপনি জানেন, আমার চাচা (আকরাম খান) বাংলাদেশের অনেক বড় তারকা ছিলেন তখন। বিশেষ করে, বাংলাদেশ ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জিতে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়ার পর।

সেমিফাইনাল জিতে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা এবং পরে ফাইনাল জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর, তখনকার অবস্থা পরাবাস্তব ছিল। আমি এখনও বলতে পারি, বাংলাদেশ সামনে বিশ্বকাপ জিতলেও, ১৯৯৭ সালে যে উদযাপন হয়েছিল, তার আর কখনও হবে না। মানুষজন আমাদের বাড়িতে আসতেন, রঙ খেলা হতো।

এসময় তামিম আরও একবার জানিয়েছেন, নিজের বাবার স্বপ্ন তাড়া করেই ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন তিনি, এসব কিছু আমি খুবই ছোট অবস্থায় দেখেছি। এসব দেখে, ক্রিকেটের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, আমার চাচার সঙ্গে মানুষের সখ্যতা দেখার পর আমার জন্য ক্রিকেটে আসার সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ছিল না। তখন থেকেই আমি ক্রিকেটার হতে চাইতাম। এছাড়া আমার প্রয়াত বাবাও সবসময় চাইতেন, আমি যেন ক্রিকেটার হই।

সত্যি বলতে, আমি আমার বাবার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলাম। এর আগেও অনেকবার বলেছি, আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্যই সবকিছু করে যাচ্ছি। আমি ক্রিকেট খেলছি কারণ আমাকে আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। এভাবেই আসলে সবকিছুর শুরু।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়