ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্রায়েম ওয়াটসন
দীর্ঘ দিন ধরেই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। কিন্তু নাহ। যুদ্ধটা আর চালিয়ে যেতে পারলেন না ৭৫ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার গ্রায়েম ওয়াটসন। মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান ও মিডিয়াম পেসার ওয়াটসন ১৯৬৭-১৯৭২ সাল পর্যন্ত পাঁচটি টেস্ট খেলেন। ১৯৭২ সালে দেশের হয়ে অংশ নেন দুটি একদিনের ম্যাচে। ইনজুরির কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘ দিন খেলতে না পারলেও মাতিয়ে গেছেন ঘরোয়া ক্রিকেট।
ভিক্টোরিয়ার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে ডগ ওয়াল্টার্সের বদলে অস্ট্রেলিয়ার রোডেশিয়া (বর্তমান জিম্বাবুয়ে) ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ডাক পান ওয়াটসন। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে কেপটাউনে তার অভিষেক ম্যাচটিই কেবল অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল।
ম্যাচটির প্রথম ইনিংসে ওয়াটসনের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। প্রথম ইনিংসে ১১ ওভার বল করে কোনো উইকেট পাননি। গোড়ালির চোটের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে বলই করেননি। আর পরের টেস্টে একাদশ থেকে ছিটকে যান। জোহানেসবার্গ টেস্টে ফিরে গড়েন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার ২/৬৭।
ইনজুরি ভীতি পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে তাড়া করে বেড়িয়েছে ওয়াটসনকে। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে মেলবোর্নে অবশিষ্ট ওয়ার্ল্ড সিরিজ ম্যাচে টনি গ্রেগের বিমার নাকে লেগে তো মারাই যেতে বসেছিলেন। তার চিকিৎসায় নিয়োজিত নার্স ইয়ান চ্যাপেলকে এমনটি জানিয়ে ছিলেন।
চিকিৎসকরা ওয়াটসনকে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দিলেও ছয় সপ্তাহ পর ফের খেলা শুরু করেন। পুরস্কার হিসেবে ১৯৭২ সালে যান ইংল্যান্ড সফরে। সেখানেই খেলেন ক্যারিয়ারের শেষ দুটি টেস্ট।
উল্লেখ্য” ১৯৭১-৭২ মৌসুমে তিনি চলে যান ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায়। ১৯৭১-৭২, ১৯৭২-৭৩ ও ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে দলের শেফিল্ড-শিল্ড শিরোপা জয়ের ক্যাম্পেইনে রাখেন অগ্রণী ভূমিকা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এনডি