১৫ বছর পর উইন্ডিজে টেস্ট জিতল বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হার দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। অবশেষে জ্যামাইকা টেস্টে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ক্যারিবিয়ানদের ১১০ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। এতে ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জেতার রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) কিংস্টনের স্যাবিনা পার্কে ম্যাচের চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে জয়ের স্বাদ পায় সফরকারীরা। এতে সিরিজ শেষ করেছে ১-১ সমতায় টাইগার বাহিনী।
প্রথম টেস্টে হেরে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। কিন্তু জ্যামাইকা টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম।
উত্তরে নাহিদ রানার ৫ উইকেট শিকারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস থেকে ১৮ রানের লিড পেয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই অলআউট হয়েছে টাইগাররা। দলের হয়ে একাই লড়াই করেছেন জাকের আলি।
তবে ৯ রানের জন্য মিস করেছেন সেঞ্চুরি। তার দৃঢ়তায় ২৬৮ রান করে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ক্যারিবিয়ানদের টার্গেট দাঁড়ায় ২৮৭ রানের। ৫ ছক্কা ও ৮ চারে ৯১ রান করেন জাকের। এছাড়া সাদমান ৪৬ ও মিরাজ ৪২ রান যোগ করেন।
২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানের মধ্যে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখান তাইজুল ও তাসকিন আহমেদ। মিকাইল লুইস ৬ ও কাসি কার্টি ১৪ রান করে আউট হন। তবে কেভাম হজ ও ক্রেইগ ব্রাফেটের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এই দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তাইজুল। ব্রাফেট ৪৩ ও হজ ৫৫ রান করে আউট হন।
তাদের বিদায়ের পর আর কেউ থিতু হতে পারেনি। বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ১৮৫ রানে অলআউট হয় ক্যারিবিয়ানরা। তাইজুল নেন ৫টি উইকেট। এছাড়া তাসকিন ও হাসান মাহমুদ নেন ২টি করে উইকেট।
প্রসঙ্গত, গত ২০০৯ সালের সাফল্যকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজেই দুটি টেস্ট জিতেছিল টাইগার বাহিনী। এত দিন কোনো পঞ্জিকা বর্ষে এটাই ছিল সেরা সাফল্য। এবার জিতল তিনটি ম্যাচ। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে এই বছর দেশের জয় হল তিনটি টেস্ট ম্যাচ। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কোনো আসরে এটাই বাংলাদেশের সেরা সাফল্য।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি