আইরিশদের স্বপ্নের পালে হাওয়া
ঢাকা: মহাযজ্ঞ শুরুর আগে ওয়ার্মআপ ম্যাচে পরিবেশ জমিয়ে তুলেছিল জিম্বাবুয়ে।
প্রথমে অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডকে ভড়কে দিয়েছিল। পরের ম্যাচে চমকে দিয়েছিল ১৯৯৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরু হতে না হতেই অনেকটা গুটিয়ে পড়ে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ব্রেন্ডন টেলর ও এলটন চিগম্বুরারা। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষেও হারে তারা। মাঝে অবশ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু পরের পর্বে উতরে যেতে ডেভ হোয়াটমোরের শিষ্যদের জন্য ‘লাইফ লাইন’ হয়ে দাঁড়ায় আইরিশ পরীক্ষা। হোবার্টে সেই পরীক্ষায় ভালো লড়াই দিয়েও হেরে গেছে জিম্বাবুয়ে। শনিবার বেলেরিভ ওভালে বিগ স্কোরিং ম্যাচে ৫ রানে ম্যাচ জিতে নেয় আয়ারল্যান্ড। ফলে আইরিশদের কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্নে নতুন হাওয়া লাগলো।
হোবার্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ‘বি’ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ খেলায় টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ব্রেন্ডন টেলরের সেই সিদ্ধান্ত কতোটা ঠিক ছিল তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ, বেলেরিভ ওভালের ব্যাটিং স্বর্গে ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাকফুটে চলে যায় জিম্বাবুয়েরর বোলাররা। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৬ রানে পল স্টারলিংয়ের বিদায় হলেও খুব দ্রুত ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নেয় উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড বাহিনী। অ্যাড জয়েসের দাপুটে সেঞ্চুরির সাথে অ্যান্ডি বালবিরনির ৯৭ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রানের সৌধ গড়ে আইরিশরা। ১০৩ বল মোকাবেলায় ৩ ওভার বাউন্ডারি ও ৯ চারে সর্বোচ্চ ১১২ রান করেন জয়েস। ৭৯ বলে ৯৭ রান করেন বালবিরনি। জিম্বাবুয়ের তেনদাই চাতারা ও শেন উইলিয়ামস তিনটি করে উইকেট নেন।
এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১৬.৪ ওভারে মাত্র ৭৪ রানের বিনিময়ে চার চারটি উইকেট হারায় তারা। দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন সিকান্দার রাজা, চামু চিবাবা, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও সলোমান মিরে। কিন্তু এরপর অনেকটা স্রোতের বিপরীতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর ও শেন উইলিয়ামস। ৯১ বলে ঝকঝকে ১২১ রানের সঞ্জিবনী ইনিংস খেলেন টেলর। ১১টি চারের সাথে সাথে চারটি ছক্কাও মারেন তিনি। শেষে অ্যালেক্স কুসাকের বলে কেভিন ও’ব্রায়েনের হাতে ক্যাচ দেন টেলর। ৮৩ বলে ৯৬ রান করে উইলিয়ামস তার দলের জয়ের সম্ভাবনাও জাগান। কিন্তু ইনিংসের একেবারে শেষ মুহূর্তে ধৈর্য্যহারা হয়ে আউট হন শেন। তাতে ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতে ৫ রানে ম্যাচ হারে জিম্বাবুয়ে। আয়ারল্যান্ডের আন্দ্রে কুসাক ৩২ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট দখল করেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন জয়েস।
শনিবারের এই জয়ের পর ‘বি’ গ্রুপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছাপিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে এসেছে আয়ারল্যান্ড। চার ম্যাচ শেষে ছয় পয়েন্ট তাদের। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের পরই তারা। আর আয়ারল্যান্ডের পরে টেবিলের পাঁচ নম্বরে উইন্ডিজ, ছয়ে জিম্বাবুয়ে ও সাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফকে/এজে
নিউজবাংলাদেশ.কম