আমিরাতের খপ্পর থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল জিম্বাবুয়ে
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বৃহস্পতিবার স্যাকটনওভালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। মাঠে নামার আগে ডেভ হোয়াটমোরের শিষ্যরা স্বপ্নেও ভাবেনি এমন বেকায়দায় পড়তে হবে! সবার চোখ কপালে তুলে দিয়ে জয়ের জন্য তাদের ২৮৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল আমিরাত। তবে শেষ পর্যন্ত হফাৎ বাঘ হয়ে ওঠা আমিরাতের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ৪ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে আফ্রিকানরা।
জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হলেও দলীয় ১৬৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। টপ অর্ডারে ভরসার কেন্দ্রবিন্দু সিকান্দার রাজা ৪৫ ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরার পর রেগিস চাকাভা ৩৫, ব্রেন্ডন টেলর ৪৭ ও সলমোন মিরে ৯ রানে একই পথের পথিক হন। এমন পরিস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের জয় নিয়ে শঙ্কাই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন সেন উইলিয়ামস ও ক্রেইগ আরভিন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সঙ্গে জয়ের পথও সুগম হয় জিম্বাবুয়ের।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে জিম্বাবুয়ের দলীয় স্কোরে যুক্ত হয়েছিল ৮৩ রান। ব্যক্তিগত ৪২ রানে আরভিন আউট হলে জুটি ভাঙে। অবশ্য ততক্ষণে দল নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছে গেছে। সঙ্গে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে জিম্বাবুয়ে শিবির। নইলে আমিরাতের কাছে হার এড়ানো কঠিন হয়ে পড়ত তাদের জন্য। শেষ অবধি তা হয়নি জয় পেয়েছে দলটি। ৭৬ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলেছেন সেন উইলিয়ামস। তার ইনিংসে ৭টি চার ও ১টি ছয়ের মারের ছিল।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়েকে চমকে দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান তুলেছিল দলটি। সবচেয়ে বেশি ৬৭ রান করেছেন সাইমান আনোয়ার। এ ছাড়া খুররম খান ৪৫, কৃষ্ণ চন্দ্রন ৩৪ ও স্বপনিল পাতিল ৩২ রান করেছেন। হারলেও আক্ষেপ থাকবে না আমিরাতের। কারণ নিজেদের লড়াই করেই হেরেছে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আমিরাত : ২৮৫/৭, ওভার ৫০ (সাইমান আনোয়ার ৬৭, খুররম খান ৪৫, কৃষ্ণ চন্দ্রন ৩৪, স্বপনিল পাতিল ৩২, জাভেদ ২৫; চাতারা ৩/৪২, মিরে ২/৩৯)
জিম্বাবুয়ে : ২৮৬/৬ , ওভার ৪৮ (উইলিয়ামস ৭৬*, সিকান্দার ৪৫, চাকাভা ৩৫, টেলর ৪৭, আরভিন ৪২; তৌকির ২/৫১)
ফল : জিম্বাবুয়ে ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : সেন উইলিয়ামস
এসএল/
নিউজবাংলাদেশ.কম