এবার কী করবে পাকিস্তান?
ঢাকা: বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলো পাকবাহিনী। এরপর সহজ দুই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে পাকিস্তান শিবিরে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসে। বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ পাকিস্তান শনিবার অকল্যান্ডে দারুণ ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে।
বিশ্বকাপে দুর্দান্ত গতিতে আগানো দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে এবার কী করবেন মিসবাহরা? বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা নিশ্চিত করতে চাইলে এ ম্যাচে তাদের জিততেই হবে। নইলে শেষ ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
এ দিকে বিশ্বকাপে একমাত্র ভারতের কাছে হারলেও জিম্বাবুয়ে-আয়ারল্যান্ড দুটি ম্যাচে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে চারশ’র বেশি রান। তাদের জয়ও এসেছে ২০০ রানেরও ওপরে। সেই হিসাবে পাকিস্তানের সামনে বড় চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে। শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হবে দুই দলের ম্যাচটি।
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে বৃষ্টিকে নিয়ে ভয় হচ্ছে দুই দলের। সে ক্ষেত্রে ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দিতে পারে বৃষ্টিতে! কারণ, ইতিমধ্যে ম্যাচের আগের দিন অকল্যান্ডে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। পাকিস্তানের ভক্তরা হয়তো মনে করছেন পাকিস্তান অনায়সেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারবে।
কিন্তু সেটিও সম্ভব! প্রোটিয়ারাও ভাল করেই জানে কীভাবে জিততে হয়। পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো জানিয়েছেন, আমরা জানি তাদের (পাকিস্তান) দিনে তারা যে কাউকে হারাতে পারে। সত্যি কথা বলতে, আমাদের প্রস্তুতিও দারুণ হয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা বধে নিজেদের উজার করে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। অধিনায়ক মিসবাহর এ বিষয়ে জানান, সবাই দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। আমরা সবাই জানি বিশ্বকাপে এগিয়ে যাওয়ার পথে এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা এই ম্যাচেই মনোনিবেশ করছি, আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এর আগে বিশ্বকাপে ১৯৯২, ১৯৯৬ এবং ১৯৯৯ সালে মোট দল তিন বার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তাতে একবারও জয়ের মুখ দেখতে পারেনি পাকিস্তান। তাই সেদিক দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্যই এগিয়ে থাকবে। তাছাড়া দারুণ ফর্মে থাকা এবিডি ভিলিয়াস যদি উইকেটে টিকে থাকতে পারে তাহলে পাকিস্তানের জন্য ম্যাচ জেতা কঠিন হবে।
সম্ভাব্য স্কোয়াড:
পাকিস্তান: নাসির জামশেদ/সরফরাজ আহমেদ, আহমেদ শেহজাদ, হারিস সোহেল/ইউনিস খান, শোয়েব মাকসুদ, মিসবাহ-উল-হক (অধিনায়ক), উমর আকমল, শহীদ আফ্রিদি, ওয়াহাব রিয়াজ, সোহেল খান, রাহাত আলী এবং মোহাম্মদ ইরফান।
দক্ষিণ আফ্রিকা: হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক, ফ্যাফ ডু প্লেসিস, এবিডি ভিলিয়ার্স (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, ফারহার বিহারদিয়েন/রিলে রুশো, ভারনন ফিল্যান্ডার/ কাইল অ্যাবোট, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল এবং ইমরান তাহির।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এজে
নিউজবাংলাদেশ.কম