সিডনিতে ইতিহাসের বাধার সামনে ভারত
ঢাকা: বৃহস্পতিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামার আগে ভারত চাইবে ইতিহাস যেন অতীতের পুনরাবৃত্তি না ঘটায়। যদিও চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী দুইবারের শিরোপাধারীরা। হুঙ্কারও ছুঁড়ছে তারা, আর প্রতিপক্ষকে সমীহ করছে স্বাগতিকরাও।
এসসিজিতে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে গত ৩৫ বছরে অস্ট্রেলিয়াকে কেবলমাত্র একবার হারাতে পেরেছে ভারত। সেটা ২০০৮ সালের ঘটনা। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শচীন টেন্ডুলকারের একটি সেঞ্চুরিতে ‘দ্য ইয়োলো’দের পরাস্ত করেছিল টিম ইন্ডিয়া। অবশ্য মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত সমালোচকদের ইতোমধ্যেই দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন। বিশ্বকাপের মাসখানেক আগে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়হীন থেকে ক্রিকেট যজ্ঞে প্রবেশ করে টানা সাত ম্যাচ জিতেছে তারা। অপরাজিত থেকে নাম লিখিয়েছে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভূপাতিত করার পর বাকি চার ম্যাচেও জয় তুলে নেয় ভারত। এরপর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে ১০৯ রানে হারায় তারা। যদিও মাশরাফি বিন মুর্তজা বাহিনীর বিপক্ষে ভারতের জয়টি নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে নিরপেক্ষ ক্রিকেটপ্রেমীদের। অবশ্য সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হলো চলতি টুর্নামেন্টে প্রথমে ব্যাট করে প্রত্যেক ম্যাচেই তিন’শয়ের অধিক রান করেছে বিরাট কোহলি-শিখর ধাওয়ানরা। তাছাড়া প্রত্যেক ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে অলআউট করার কৃতিত্বও দেখিয়েছে তারা। অর্থাৎ, সাত ম্যাচে পুরো ৭০ উইকেট দখল করেছে ভারতীয় বোলাররা।
বৃহস্পতিবারের মহারণের আগে ভারত-অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ১০বার মুখোমুখি হয়। যেখানে সাতটি জয় নিয়ে এগিয়ে অসিরা, এর পাশে তিন জয় ভারতের। কিন্তু ২০১১ সালে আহমেদাবাদে দু দলের সর্বশেষ সাক্ষাতে বিজয়ী দলের নাম ভারতই। কিন্তু সিডনির পিচ কেমন হবে- বৃহস্পতিবারসীয় হাইভোল্টেজ সেমির আগে চারপাশে উঠে বেড়াচ্ছে এই প্রশ্নটি। যদিও এসসিজির কিউরেটর টম পার্কার বিষয়টিকে ধোঁয়াশার মধ্যেই রাখছেন। তবে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমির ভেন্যুটিতে গত দুই দিনের অনুশীলনে এটা স্পষ্ট পিচ স্পিনবান্ধব হবে। এক সপ্তাহ আগে এখানে জেপি ডুমিনি ও ইমরান তাহির শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাত উইকেট দখল করেছিলেন। যখন লঙ্কানরা ১৩৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ফলে প্রশ্ন উঠছে প্রতিপক্ষ নিয়ে কতোটা প্রস্তুত ভারত? রোহিত শর্মা বলছেন, “উইকেট কোন ধরনের আচরণ করবে তা আমরা জানি না। কিন্তু যে ধরনের উইকেটই হোক, আমরা ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।” অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক বলছেন, “আমার মনে হয় বড় ম্যাচের অভিজ্ঞতা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। এজন্য অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারুণ্যেরও মিশেল লাগবে। তৃপ্তিদায়ক যে, সেটা আমাদের দলে আছে।” প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চার উইকেটে পরাজিত করে ইতোমধ্যেই ফাইনালে নাম লিখিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফকে
নিউজবাংলাদেশ.কম