বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্ত
ঢাকা: বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে আম্পায়ারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচে শুরু থেকেই আম্পায়ারদের ভূমিকা ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে ধোনিরা।
এরপর থেকে আম্পায়াররা ভারত রক্ষায় উঠেপড়ে লাগে। আম্পায়ারদের ভূমিকা দেখে সারা দুনিয়ার কোটি কোটি ক্রিকেটভক্ত স্তব্ধ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
ম্যাচের ৩৪তম ওভারের মাশরাফির দ্বিতীয় বলেই নিশ্চিত এলবিডব্লিউয়ের হন সুরেশ রায়না। এমন সময় রায়নার বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের জোরালো আবেদন করলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আম্পায়ার ইয়ান গৌল্ড খানিকক্ষণ মাথা নেড়ে ‘না’ বলে দিলেন। কিন্তু মাশরাফি আত্মবিশ্বাসী। চেয়ে বসলেন রিভিউ।
এবার সিদ্ধান্ত দেয়ার পালা তৃতীয় আম্পায়ারের। স্টিভ ডেভিস রিপ্লে দেখলেন। কিন্তু তিনিও নাকচ করে দিলেন আবেদন। কিন্তু কেন? বল তো গিয়ে স্টাম্পেই লাগছিল। বল ব্যাটেও লাগেনি, লেগেছে প্যাডে। তারপরও কেন আউট নয়? এমন প্রশ্ন উঠতে পারে আপনার মনে। এই উইকেট ম্যাচের মোড়ই ঘুরিয়ে দিতে পারতো।
এরপর দলীয় ৪০তম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে ক্যাচ আউট হন রোহিত শর্মা। রুবেল হোসেনের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচটা লুফে নিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু আম্পায়ার ইয়ান গৌল্ড ‘নো’ বল ডেকে বসেন। অপরাধ, কোমরের ওপরের উচ্চতায় বল ছোড়া। রোহিত শর্মা ৯০ রানেই সাজঘরে ফিরে যেতেন। কিন্তু এ যাত্রাও আম্পায়ার ভারতকে বাঁচিয়ে দেয়।
সুরেশকে নিয়ে ভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জেরকার তো বলেই বসলেন, ‘নিয়মের দিক দিয়ে সিদ্ধান্তটা ঠিক আছে, কিন্তু নীতির দিক দিয়ে ঠিক নেই।’ ক্রিকইনফোও লিখেছে, এটা অনেক ‘ক্লোজ’ একটা আবেদন ছিল। ৫১ শতাংশই আউট।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এজে
নিউজবাংলাদেশ.কম