প্রতিশোধের ম্যাচ জিতে কোয়ার্টারে পাকিস্তান
ঢাকা: ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে এই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছিল পাকিস্তান। আট বছর বাদে আইসিসির সহযোগী দেশটিকে একই পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করালো মিসবাহ উল হক বাহিনী। রোববার অ্যাডিলেড ওভালে ওপেনার সরফরাজ আহমেদের সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ডকে সাত উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। নিয়েছে মধুর এক প্রতিশোধ। যাতে বিদায় ঘণ্টা বাজে আইরিশদের।
আর পাকিস্তানের সাথে সাথে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে ঢুকে পড়ে দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজও।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ময়দানি লড়াইয়ের আগেই রণহুঙ্কার ছুড়ছিলেন অ্যাড জয়েস-উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডরা। অতীত ইতিহাস উসকে দিয়ে অঅনুমেয় পাকিস্তানকে হয়তো ঘাবড়ে দেয়ার গোপন পরিকল্পনাই এটেছিল দলটি! কিন্তু অ্যাডিলেড ওভালে স্যাবিনা পার্কের মিরাকল ফেরেনি। নতুন করে কোনো অঘটনের মঞ্চায়ন হয়নি। পাকিস্তান বিশ্বকাপ গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে আনায়াসেই। সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে। যে ওপেনারদের নিয়ে দলটির সবচেয়ে বড় দুঃশ্চিন্তা ছিল তারাই এদিন উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় দলকে। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে টপ অর্ডারের বাকি ব্যাটসম্যানরা বাকি কাজটুকু সারেন।
পাকিস্তানের বোলিংয়ের শুরুটা ছিল দারুণ আশা জাগানিয়া। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আইরিশদের টুঁটি প্রথমেই চেপে ধরেন পাক বোলাররা। ইনিংসের শুরুতেই পল স্টারলিংকে (৩) আউট করেন এহসান আদিল। স্কোরবোর্ডে তখন সবেমাত্র ১১ রান। ৩.৩ ওভার খেলা হয়েছে। এড জয়েস (১১) ও নেইল ও’ব্রায়েনরাও (১২) থিতু হতে পারেননি। যদিও উইকেটের এক প্রান্ত ঠিকই আগলে রেখেছিলেন পোর্টারফিল্ড। দলকে শক্ত অবস্থানে নিতে ১৩১ বলে ১০৭ রানের দারুণ একটি ইনিংসও খেলেন আইরিশ দলপতি।
কিন্তু উইকেটের অপর পাশে অন্য কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেননি। ফলে স্কোরবোর্ডে বড় রান সংগ্রহ সম্ভব হয়নি আয়ারল্যান্ডের। দলটির পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান এসেছে গ্রে উইলসনের ব্যাটে। পাকিস্তানের পক্ষে তিনটি উইকেট পান পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। দুটি করে উইকেট গেছে সোহেল খান ও রাহাত আলির দখলে। হারিস সোহেল ও এহসান আদিলও একটি করে উইকেট নিজেদের নামের পাশে জমা করেন।
এরপর জয়ের জন্য পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের শুরুটা যেমন হওয়ার দরকার ছিল ঠিক তেমন শুরু উপহার দেন দুই ওপেনার সরফরাজ আহমেদ ও আহমেদ শেহজাদ। উদ্বোধনী জুটিতে ১২০ রান যোগ করার পর বিচ্ছিন্ন হন শেহজাদ। ব্যক্তিগত ৬৩ রান করে স্টুয়ার্ট থম্পসনে কাটা পড়েন তিনি। ২৪.৩ ওভারে ছয় রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন হারিস সোহেলও (৩)। তৃতীয় উইকেটে ৮২ রান যোগ করে বিদায় নেন মিসবাহ উল হক। ৩৯ রান করে অদ্ভূত হিট উইকেটের শিকার হন তিনি। দলের রান তখন ২০৮। এরপর পাকিস্তানের জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতাটুকু সারেন দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকানো সরফরাজ ও উমর আকমল। ইনিংসের ২৩ বল বাকি থাকতেই। ১২৩ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন সরফরাজ। আকমলের ব্যাটে এসেছে ২০* রান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফকে
নিউজবাংলাদেশ.কম