ম্যান সিটিকে শিরোপার অপেক্ষা বাড়াল চেলসি
ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত জয়, চেলসির বিপক্ষে এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমে জিততে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। নিজেদের মাঠে প্রথমে এগিয়ে গেলেও ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ হেরে শিরোপা উদযাপন করা হয়নি পেপ গার্দিওলার দলের। কয়েক দিন পরেই ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে চেলসি-ম্যানচেস্টার সিটি।
তার আগে লিগ ম্যাচে দুদলের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে এমনিতেই রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছিল। ম্যাচটা আবার প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার ফয়সালা হতে যাচ্ছিল বলে আগ্রহ আরও বেড়ে গিয়েছিল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও হলো। তবে শেষে সিটি সমর্থকরা খুশি হতে পারেননি। রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধে হাকিম জিয়াশ ও মার্কোস আসোনসোর গোলে সিটির হার নিশ্চিত করে চেলসি। প্রথমার্ধে ম্যানসিটি তারকা সার্জিও আগুয়েরো পেনাল্টি মিস না করলে হয়তো অন্য রকমও হতে পারত ম্যাচের গল্পটা।
আক্রমনের এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ পচ্ছিল না সিটি। ৩২ মিনিটে চেলসির টিমো ভেরনার বল জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডে তা বাতিল হয়ে যায়। ৩৫ মিনিটে সিটি তারকা রাহিম স্টার্লিংয়ের দুর্দান্ত শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান চেলসি গোলরক্ষক। ৪৪ মিনিটে ফাঁকায় পাওয়া বল জালে জড়িয়ে সিটিকে ১-০ তে এগিয়ে নেন স্টার্লিং। গ্যাব্রিয়েল জেসুসের পাসে শট নিতে পারেননি আগুয়েরো। পেছন থেকে দৌড়ে গিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন স্টার্লিং।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান ২-০ হতে পারত। গ্যাব্রিয়েল জেসুস ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় সিটি। কিন্তু আগুয়েরো পেনাল্টিতে ‘পানেনকা’ শট নিলে সহজেই তা রুখে দেন চেলসি গোলরক্ষক মঁদি। ৬৩ মিনিটে জিয়াশের দারুণ এক নিচু শটে ১-১তে সমতায় ফেরে চেলসি। কিছুক্ষণ পর দুই মিনিটের ব্যবধানে দুবার জালে বল জড়িয়েছিল চেলসি।
কিন্তু অফসাইডে তা বাতিল হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি। এই জয়ে ৩৫ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট হলো চেলসির। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটি আছে টেবিলের তিন নম্বরে। আপর দিকে সমান ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৮০।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/ডি