বাংলাদেশ ও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজের প্রথম ক্যান্ডি টেস্ট ম্যাচটি নিশ্চিত ড্রয়ের পথে। দিমুথ করুণারত্নে ডাবল সেঞ্চুরি ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার অপরাজিত দেড়শরানে নিজেদের প্রথম ইনিংসে দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫১২ রান করেছে। তবে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ থেকে এখনও ২৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে।

বাংলাদেশের বোলাররা চতুর্থ দিনে কোনো উইকেটই তুলে নিতে পারেনি। অধিনায়ক করুনারত্নে ২৩৪ রানে অপরাজিত আছেন। তিনি ৪১৯ বলে ২৫টি চারের সাহায্যে এই ইনিংস খেলেছেন। অন্যপ্রান্তে ১৫৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে মাঠ ছেড়েছেন ধনঞ্জয়া। তিনি ২৭৮ বলে ২০টি চার হাঁকিয়েছেন।

এর আগে তৃতীয় সেশনের সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই তাসকিন আহমেদের বলে বাউন্ডারি হাঁকান করুণারত্নে। আর তাতে টেস্ট ক্যারিয়ারের আগের সর্বোচ্চ ইনিংসকে (১৯৬) ছাড়িয়ে যান তিনি। একই ওভারের শেষ বলে ফের বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি। দিনের প্রথম দুই সেশনে উইকেটের পতন হয়নি একটিও। বরং বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যান তৃতীয় সেশনে দলের সংগ্রহ নিয়ে যাচ্ছেন পাহাড়ের চূড়ায়। সবমিলিয়ে এই ম্যাচের ফলাফল যে ড্র হতে যাচ্ছে তাতে সন্দেহ করার সুযোগ নেই বললেই চলে।

এর আগে শনিবার (২৪ এপ্রিল) ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ২২৯ রান নিয়ে চলতি টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। দিনের শুরুর দিকে সেঞ্চুরি তুলে নেন আগের দিন ৮৫ রানে অপরাজিত থাকা করুণারত্নে। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের একাদশ, অধিনায়ক হিসেবে তৃতীয় এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তবে সেখানেই থামেননি তিনি। পরে তুলে নিয়েছেন প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।

অধিনায়কের সেঞ্চুরির কিছুক্ষণ পর ফিফটির দেখা পান আগের দিন ২৬ রানে অপরাজিত থাকা ধনঞ্জয়া। অন্যদিকে দেড়শর দিকে ছুটতে থাকেন করুণারত্নে।   তবে অধিনায়ক দেড়শ ছোঁয়ার আগেই সেঞ্চুরি পেয়ে যান ধনঞ্জয়া। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি পাওয়ার পর উইকেটে আরও জেঁকে বসেন করুণারত্নে ও ধনঞ্জয়া। তৃতীয় সেশনের প্রথম দিকেই দেড়শ ছাড়িয়ে ডাবলের দেখা পেয়ে যান করুণারত্নে। ৩৮৭ বল খেলে এই ডাবলের ইনিংস তিনি সাজিয়েছেন ২১টি বাউন্ডারিতে।

বাংলাদেশের বোলারদের জন্য প্রথম দুই সেশন ছিল একেবারেই নিষ্ফলা। কোনো উইকেট না হারিয়েই এই সময় ১০২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় সেশনে আসে ১১১ রান। তৃতীয় সেশনের পরিণতিও সেদিকেই যাচ্ছে। এর আগে ৭ উইকেটে ৫৪১ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ৩১২ রানে পিছিয়ে ছিল স্বাগতিকরা।