টেস্ট খেলতে চাই না, একথা ঠিক না: মোস্তাফিজ
ওয়ানডে ক্রিকেটে বেশ রাজকীয়ভাবেই নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। পাঁচ বছর আগে ভারতের বিপক্ষে সেই সিরিজ মোস্তাফিজ একাই জিতিয়েছিলেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য একজন সদস্য হয়ে গেছেন মোস্তাফিজ।
কাটার, স্লোয়ার, ইয়র্কার বল দিয়ে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করেছিলেন বহুবার। সব ফরম্যাটের ক্রিকেটেই পেস বোলিং বিভাগে নেতৃত্ব দেবেন মোস্তাফিজ এমনটাই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট নিজেকে এখনো প্রমাণ করতে পারেননি এই বাঁহাতি পেসার। শোনা যাচ্ছিল টেস্টের প্রতি আগ্রহ নেই মোস্তাফিজের। তবে সেই ধারাণা ভুল বলে জানিয়েছেন মোস্তাফিজ।
ক্রিকেটভিত্তিক নিউজ পোর্টাল ক্রিকবাজকে মোস্তাফিজ জানিয়েছেন তিন ফরম্যানটের ক্রিকেটই খেলতে চান তিনি। গতবছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের পর আর টেস্ট দলে জায়গা পাননি মোস্তাফিজ। তাই ধারণা করা হচ্ছিল টেস্টে প্রতি আগ্রহ নেই তার।
মোস্তাফিজ বলেন, ‘আমি সব ফরম্যাটের ক্রিকেটই খেলতে চাই। কিন্তু শরীরের যে একটা ধারন ক্ষমতা আছে সেটার কথাও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। অনেক সময় একটা সিরিজে অনেক ম্যাচ খেলতে হয়। সেসময় আমাকে টিম ম্যানেজমেন্ট বিশ্রামে রাখে। আমার ইনজুরির কারণে অস্ত্রপচার করা হয়েছিলে সেটার জন্য এটা করা হয়, সাংবাদিকরা অনেক কিছুই জানে এই বিষয়টা নিয়ে। যার কারণে এই প্রসঙ্গটা এসেছিল যে আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই না বা আগ্রহ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার মানে এটা সত্য নয় যে আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি যে একজন বোলার ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে ভালো বোলার হলেই সে ভালো বোলার হয় না। কারণ সে সব ফরম্যাটে ভালো বোলার নয়। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি এখন, তাই বলে পরোক্ষভাবে এটা কিন্তু বোঝায় না যে আমি টেস্ট খেলতে চাই না।’
বাঁহাতি এই পেসার মনে করেন টেস্ট ক্রিকেটে একজন বোলার ভালো করার অনেক সুযোগ পায় কিন্তু সীমিত ওভারে ক্রিকেটে বোলাররা সেই সুযোগটা পায় না।
তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে একজন বোলারের সামনে ভালো করার সুযোগ থাকে, সময় থাকে। একটা স্পেল খারাপ হলেও আপনি আবার সুযোগ পাবেন বল করার, ভালো করার। উদাহরণ দিলে বলা যায় যে ধরুন আপনি একটা স্পেলে পাঁচ ওভার বল করে ৫০ রান দিলেন। কিন্তু পরের স্পেলে আপনি পাঁচ ওভারে পাঁচ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নিলেন। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেট আপনি সেই যুযোগ পাবেন না। ধরেন আপনি নয় ওভার ভালো বল করেছেন কিন্তু একটা ওভার খারাপ করলে সেটা ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব পড়তে পারে।’
চোটের কারণে মোস্তাফিজের কাঁধে অস্ত্রপচার করা হয়। এরপর থেকেই নিজের কাটার আর বোলিংযের ধার অনেকটেই কমে গেছে তার। এছাড়া মোস্তাফিজের বলে সুইং নেই তাই নতুন বলে বল করার সুযোগটা পান না তিনি। এই বিষয় নিয়েও এখন কাজ করছেন মোস্তাফিজ।
বাঁহাতি এই পেসার বলেন, ‘আমি বল কিভাবে সুইং করে সেটা নিয়ে কাজ করা শিখছি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে আমি শুরুতেই বল করেছি এবং উইকেটে নেওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে দলের সুবিধা হয়। মাশরাফি ভাইয় এখন যে কাজ করে কিন্তু সে যখন দলে থাকবে না তখন কাউকে তো এই দায়িত্বটা নিতে হবে। সেজন্য বলে সুইং ও বৈচিত্র নিয়ে কাজ করছি। আমি যদি প্রথম পাঁচ ওভারে এটা (দ্রুত উইকেট নেওয়া) করতে পারি তবে দলের জন্য ভালো হবে। সেজন্য আমি ব্যাটসম্যানদের ভেতর দিয়ে বল কিভাবে বের করে নিয়ে আসতে হয় সেটা নিয়েও কাজ করছি।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস