পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে মারধরের ঘটনায় সাব্বিরের দুঃখ প্রকাশ
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ক্রিকেটার সাব্বির রহমান।
রোববার (৩১ মে) রাতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এসময় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিযাম-উল-আযীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিযাম-উল-আযীম বলেন, তুচ্ছ বিষয়ে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সাব্বির শুধু রাজশাহীর নয়, দেশের সম্পদ। এ ঘটনায় হয়তো দু’জনেরই দোষ ছিল। রোববার (৩১ মে) রাতেই আমার কাছে আসেন সাব্বির এবং তার বাবা। ডাকা হয় পরিচ্ছন্নতাকর্মীকেও। তখন উভয়পক্ষই দুঃখ প্রকাশ করে।
এর আগে, রোববার (৩১ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী নগরীর বেলদার পাড়ায় সাব্বিরের বাড়ির সামনের রাস্তায় সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সাব্বির রহমানের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর অন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও সাব্বিরের বাড়ির সামনে যান। সাব্বির দুঃখ প্রকাশ না করলে তার বাসার ময়লা নিয়ে যাওয়া হবে না বলে তারা ঘোষণা দেন।
সোমবার দুপুরে রাসিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাদশা বলেন, যেভাবে চোখ রাঙিয়ে ছুটে এসে সাব্বির আমাকে বুকে আঘাত করেছিল, তাতে খুব ব্যাথা পাইছি। তবে মনের ব্যাথাটা বড় ব্যাথা। আমি সাব্বিরের বাবার বয়সী। ছেলের বয়সী কেউ গালি দিয়ে আঘাত করলে কষ্টটা বেশি লাগে।
তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলর সাহেব সব মিটমাট করে দিয়েছেন। তারা (সাব্বিরের পরিবার) দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আর কিছু না বলা আমার জন্য এখন ভালো।
তবে দুঃখ প্রকাশ নিয়ে সাব্বির রহমানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে গণমাধ্যমে মারধরের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন তিনি।
বরং পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাদশার বিরুদ্ধে চোখ রাঙানো এবং বাজে ব্যবহার করার অভিযোগ তোলেন সাব্বির।
সাব্বির ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, তিনি এবং তার স্ত্রী গাড়িতে চড়ে বাইরে থেকে আসেন। এ সময় তার বাড়ির সামনে সিটি করপোরেশনের ময়লা নিয়ে যাওয়ার একটি ভ্যান দাঁড়িয়ে ছিল। যার কারণে তিনি বাসায় গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারছিলেন না। দুই মিনিট ধরে হর্ণ দেয়ার পর আসেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাদশা। তখন তার সঙ্গে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে দাবি করেন সাব্বির।
তিনি বলেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মাঝ রাস্তায় কাউকে কি মারধর করা এতই সহজ? বাদশা আমার পরিচিত। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করি। তার কাছ থেকে এমন আচরণ আমি প্রত্যাশা করিনি। ঘটনা কিছুই না, কিন্তু আমার শত্রুর অভাব নেই। তারা বিষয়টাকে বড় করার চেষ্টা করছে।
এর আগে, রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ‘ম্যাও’ বলে ডাকার কারণে এক কিশোরকে মারধর করেছিলেন সাব্বির রহমান। এ কারণে ছয় মাসের জন্য জাতীয় দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু এবার তার বিরুদ্ধে পরিচ্ছন্নকতার্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই ক্রিকেটার।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস