News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ৩০ এপ্রিল ২০২০
আপডেট: ০৪:১৬, ৬ মে ২০২০

সবাই হাত বাড়িয়ে দিলে দেশে কোনো সঙ্কট হবে না: তামিম

সবাই হাত বাড়িয়ে দিলে দেশে কোনো সঙ্কট হবে না: তামিম

গোপনে-প্রকাশ্যে না ভাবে সহযোগিতার করেই চলেছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যান জানান,এখন করোনার সর্বগ্রাসী রুপে দেশে যে অসহায় মানুষের অর্থকষ্ট ও খাদ্যের অভাব-তাতে সবাই মিলে একটু একটু করে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসলেই মোচন সম্ভব হবে।

রাতে ফেসবুক লাইভে এসে করোনা ভাইরাসের এই ভয়াবহ অবস্থা নিয়ে তামিম বলেন, ‘এখন এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যাতে আসলে অনেকের সন্মিলিত প্রচেষ্টাই দরকার। আমি একা নই। অনেককে চিনি, জানি। যারা স্পোর্টসেরই মানুষ। আবার তার বাইরেও অনেকে আছেন, যারা কষ্ঠে থাকা অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এখন যে সঙ্কটকাল চলছে, সবাই মিলে কাজ করলে এই সঙ্কট আর থাকবে না। আমরা যদি নিজেদের খাবার শেয়ার করি, তাহলে আর কারো খাবার কষ্ট হবে না।’

ইতিমধ্যে ৯১ ক্রীড়াবীদকে গোপনে অর্থ সাহায্য পাঠিয়ে দেয়ার বিষয়ে তামিম বলেন, ‘আমি যখন অ্যাথলেট সামিউলের সাথে কথা বললাম, তখনই মাথায় এসেছিল। যদিও এখন আসলে এ বিষয়ে তেমন কথা বলতে চাই না। আশা করি আমার উপহার দিয়ে যদি কারো একটা মাস চলে যায়, তাহলে ভাল লাগবে।’

তামিম আরও বলেন, ‘অমি একা নই। আরও অনেকে সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আমরা সবাই যদি কম বেশি অপরের পাশে এসে দাঁড়াই তাহলে দেখবেন, ক্রাইসিস থাকবে না। আর আমরা যদি নিজেরা একজন আরেকজনের পাশে এসে দাঁড়াই তাহলে এমন ক্রাইসিস ছয় মাস পর্যন্ত টেনে নেয়া সম্ভব। আসলে দরকার সন্মিলিত প্রচেষ্টা। সবাই একটু একটু করে সহযোগিতার হাত বাড়ালেই দেখবেন আর কোন সমস্যা থাকবে না।’

তামিম আরও বলেন, ‘আপনি একজন ক্রিকেটার। ব্যস্ত আপনার জীবন; কিন্তু করোনার কারনে এখন কিছুই করতে পারছেন না। খেলা বন্ধ। প্র্যাকটিস করারও কোন সুযোগ নেই। বাসায় আছেন। খেলাধুলার বাইরে আছেন, সময় কিভাবে কাটছে এখন? এটাতো অপ্রত্যাশিত একটা ব্যাপার। আমি প্রায় সারা দিনের একটি বড় সময় নিজের রুমে চেয়ারে বসে কাটাই। রমজান শুরুর পর দৈনিক রুটিন একটু পাল্টেছে। না হয় যখন রোজা ছিল না, তখন আমি সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক ঘণ্টা রানিং মেশিনে রানিং আর ফিজিক্যাল ফিটনেস ট্রেনিং করে নিতাম। কিছু টুকটাক জিমওয়ার্কও করতাম। রানিং মেশিন আছে। সেটাতে রানিংও করতাম। আর বাচ্চাদের সাথে একটু সময় কাটাই।’

ক্রিকেটকে কতটা মিস করছেন? মাঠে ফেরার তাড়া অনুভব করছেন কতটা এমন প্রশ্নে, ‘আসলে এখনকার প্রেক্ষাপটে ক্রিকেট ও খেলার চেয়ে নিজের পরিবার, আত্মীয়-পরিজনসহ সবার জীবন বাঁচানোই বড়। আসলে এমন অবস্থা যে হবে, তাতো আমরা প্রথম দিকে কেউই বুঝতে পারিনি। এমন এক অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে, এখন আর খেলার কথা মাথায়ই আসছে না। সবার জীবনটা আগে। জীবন নিয়ে আগে চিন্তা ভাবনা সবার। আমার মা, সন্তান, ভাই, আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজনদের কথা সবার আগে মনে হয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমার কাছে এখন আমার নিজ পরিবারটাই অগ্রাধিকার পাচ্ছে।’

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/ডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়