পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৯ বস্তা টাকা
ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। সাথে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৭টায় ১১টি বাক্স খোলা হয়। পরে গণনার জন্য বস্তায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল ৮টা থেকে সেখানে চলছে গণনা।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এবার আমরা ৩ মাস ১৪ দিন পর দানবাক্স খুলেছি। এবার রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাদরাসার ছাত্ররা টাকা গণনার কাজ করছেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, গণনায় মাদ্রাসার ২৮২ জন শিক্ষার্থী, ৩৬ জন শিক্ষক ও স্টাফ,৭৫ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছে।
পাগলা মসজিদের দান দানবাক্স থেকে টাকা, স্বর্ণ, রূপা, বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াও আল্লাহর কাছে মনবাসনা পূরণে চিঠি লিখে থাকেন অনেকেই। এবারও এমন বেশ কিছু চিঠি পাওয়া গেছে।
দানবাক্স খোলার সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সেনাবাহিনী সার্জেন্ট বিপ্লব, জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ জন সেনা সদস্য, ১৭ জন পুলিশ সদস্য, ৯ জন আনসার সদস্য, পাগলা মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন তিন মাস ২৬ দিনে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া দানবাক্সে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি