গোসলের পর অজুর প্রয়োজনীয়তা আছে কি?
প্রতীকী ছবি
গোসল করার পর নামাজের জন্য নতুন করে অজু করতে হবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন যেহেতু সালাতের আগে অজুর বাধ্যবাধকতা আছে সুতরাং গোসল করলেও অজু করতে হবে।
তবে মূলত গোসল করার পর অজু করার কোনো বিধান ইসলামে নেই। ফরজ গোসল হলে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া ফরজ এবং পরিপূর্ণ অজু করে নেওয়া সুন্নত, যা গোসলেরই অংশ। আর গোসল ফরজ না হলে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া সুন্নত এবং পরিপূর্ণ অজু করা মোস্তাহাব।
তাই যথাযথভাবে গোসল করার পর নতুন করে আবার অজু করা ঠিক নয়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত দেখতে পারেন এসব হাদিসে- (সহিহ বুখারি: ২৪৮; উমদাতুল ক্বারি: ০৩/৮৬; বাহরুর রায়েক: ০১/৯৪; আদ্দুররুল মুহতার: ০১/৩২৩)।
অন্যদিকে, সুরা মায়েদার ৬ নম্বর আয়াতটির সরল বাংলা অনুবাদ মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিলেই পাওয়া যায় গোসল ও ওজু নিয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর।
এই আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন, “হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে এবং তার নিআমত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।”
তাছাড়া উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত তিরমিজি: ১০৭ নম্বর হাদিসে রয়েছে আরও সংক্ষিপ্ত সমাধান।-তিনি বলেন- “রাসুল মুহাম্মাদ (স.) গোসলের পরে নতুন করে অজু করতেন না।”
এ থেকে বোঝা যায়, গোসলের পর অজু করতে হবে না। কারণ, গোসলের মাধ্যমে অজু হয়ে যায়। গোসলের পর অজু ভঙ্গের কারণ পাওয়া না গেলে নতুন করে অজু করতে হবে না।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি