News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ৬ মে ২০২০
আপডেট: ০৪:২৫, ৮ মে ২০২০

বুধবার শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা

বুধবার শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা বুধবার। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব বা বোধিলাভ এবং মহাপরিনির্বাণের (মৃত্যু) স্মৃতিবিজড়িত ও ঘটনাবহুল দিবস এটি।
বুদ্ধের জীবনের এ তিনটি প্রধান ঘটনাকে ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’ নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়া গৌতমবুদ্ধের জন্ম, মহাপ্রয়াণ ও বোধিলাভ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর অপর নাম বৈশাখী পূর্ণিমা। জাতিসংঘ আজকের দিবসটিকে ‘ডে অব বৈশাখ’ হিসেবে পালন করে।
দিবসটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে একই সঙ্গে শোক ও গৌরবের। এদিন সরকারি ছুটির দিন, যদিও করোনা পরিস্থিতিতে চলমান সরকারি ছুটির মধ্যে পড়েছে দিনটি। দিনভর বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দিনটি পালন করবে। করোনার কারণে এবার এ উৎসবটি অনাড়ম্বরভাবে পালিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
বৌদ্ধ জীবনদর্শনের নানা দিক তুলে ধরে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তা অনুকরণ ও অনুসরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদও দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
মহামানব যিশু খ্রিস্টের জন্মেরও সোয়া ৬০০ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন গৌতম বুদ্ধ। ৬২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এক পরম পবিত্রতম তিথিতে কপিলাবস্তুর নিকটবর্তী লুম্বিনী উদ্যানে তার জন্ম। দীর্ঘ ছয় বছর কঠোর তপস্যার পর ৫৮৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেন প্রকৃতির সৌন্দর্যঘেরা গয়ার বোধিবৃক্ষমূলে।
এরপর সুদীর্ঘ ৪৫ বছর ধর্মপ্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। ৫৪৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কুশিনগরের মল্ল রাজাদের শালবনে ৮০ বছর বয়সে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। বুদ্ধের জন্মের হিসাবকে কেন্দ্র করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বুদ্ধাব্দ বা বছর হিসাব করেন। সে হিসাবে আজ ২৫৬৪ বুদ্ধাব্দ শুরু।
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত ‘লকডাউনে’ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঢাকার মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে কোনো রকম শুভ বুদ্ধপূর্ণিমার আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন করা হবে না।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষুসুনন্দপ্রিয় জানান, শুধু বৌদ্ধ বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষুসংঘরা বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা, বন্দনাসহ ধর্মীয়কার্য সমাধা করবেন। ভক্তবৃন্দ, উপাসক-উপাসিকাগণ নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে ধর্মীয় কাজ প্রতিপালন করবেন। আমরা নিজ নিজ বাড়িতে ধর্মীয় কার্য সম্পাদন করে আমাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রিয় মাতৃভূমিকে করোনামুক্ত রাখব।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়