ইসলামে নারীর মর্যাদা
ইসলাম নারী জাতিকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখেছে। নারী জাতিকে সম্মানের আসনে সমাসীন করেছে। ইসলাম আগমনের পূর্বে তৎকালীন সমাজে এবং অন্যান্য ধর্মে নারীদের প্রতি যে অমানবিক আচরণ করা হতো তার চিত্র সামনে রাখলে এবং ইসলাম তার প্রতিকার কিভাবে করেছে তা অনুধাবন করলেই বুঝে আসবে ইসলাম নারী জাতির প্রতি কতো অনুগ্রহ করেছে।
তৎকালীন যুগে কন্যা সন্তানকে অপমানজনক মনে করা হতো। ফলে কন্যা সন্তান জমগ্রহন করলে তাকে জীবিত কবর দেয়া হতো। এর বিপরীতে ইসলাম কন্যা সন্তানকে এতটা মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখছে যে, হাদিসে এসেছে– অর্থাৎ " যার তিনটি কন্যা সন্তান থাকে বা তিনটি বোন থাকে বা দুইটি কন্যা থাকে বা দুইটি বোন থাকে, আর সে তাদের সঠিকভাবে লালন পালন করে ও তাদের ব্যাপারে আল্লাহর ভয় রেখে কাজ করে তার বিনিময়ে সে জান্নাতে পৌঁছে যাবে (তিরমিযী)।”
অন্য এক হাদীসে হযরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ) বয়ান করেন, নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন, “অর্থাৎ, যার তিনটি কন্যা সন্তান থাকবে আর সে তাদের লালনপালনের কষ্ট সহ্য করবে এবং সামর্থ অনুযায়ী তাদের ভরনপোষন করবে, কিয়ামতের দিন ঐ কন্যা সন্তানেরা তার জন্য জাহান্নামের পথে প্রতিবন্ধক তথা বাধা হয়ে দাড়াবে (ইবনে মাজাহ।)”
তৎকালীন যুগে নারীদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হতো। স্বাধীন নারীদের সাথেও দাসীর মতো ব্যবহার করা হতো। এর বিপরীত ইসলাম নারীদের সাথে সদ্বব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে স্বয়ং নবী করীম (সাঃ) বলেছেন , “আমি তোমাদেরকে গুরুত্বের সাথে নির্দেশ দিচ্ছি নারীদের সাথে সদ্ব্যব্যবহার করার, তোমরা এই নির্দেশ গ্রহন করো।”
তৎকালীন যুগে নারীদের শুধু ভোগের সামগ্রী হিসেবে হেয় দৃষ্টিতে দেখা হতো, তা যেন না হয়, বরং সম্মানের দৃষ্টিতে যেন তাদেরকে দেখা হয়। এজন্য ইবনে মাজাহ শরীফের এক হাদীসে নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন, “মুমিন বান্দা তাকওয়া অর্জন করার পর সবচেয়ে উত্তম যা অর্জন করে তা হলো নেককার স্ত্রী।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম