আজকের এই হানাহানির দিনে লালনকে বড়ই প্রয়োজন
কুষ্টিয়া: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাউল সম্রাট লালনের কথা মনে পড়ছে। মানুষ মানুষের জন্য সেটি কেবল লালনই দেখিয়ে দিয়ে গেছেন সবার মাঝে। আর তাই আজকের এই হানাহানির দিনে লালনকে বড়ই প্রয়োজন।’
গতকাল রোববার রাতে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের স্মরণোৎসবের সমাপনী দিনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি আগামী বছর লালন একাডেমি চত্বরে অতিথিশালা নির্মাণ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে ঘোষণা।
হানিফ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কোনো কারণ ছাড়াই যে অবরোধ-হরতালের ডাক দিয়েছে তাতে করে সাধারণ মানুষের বাঁচার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড দ্রুত বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘দেশে এখন হরতাল কিংবা অবরোধ বলে কিছু নেই। দেশ পুরোপুরি স্বাভাবিকভাবে চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পেট্রলবোমা হামলা প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। যার কারণে এখন পেট্রল বোমা হামলা অনেকটাই কমে গেছে।’
খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘তিনি একটি দলের প্রধান হওয়ার কারণে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, জেলা প্রশাসন ও লালন একাডেমির আয়োজনে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের পাঁচদিনব্যাপী স্মরণোৎসবের সমাপনী দিনে সভাপতিত্ব করেন লালন একাডেমির সভাপতি ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন।
এসময় আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবীবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হাসান মেহেদী, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কুমারখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান, লালন একাডেমির সাবেক সহ-সভাপতি ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান। স্বগত বক্তব্য দেন লালন একাডেমিরর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সেলিম হক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘লালনকে সমৃদ্ধ করতে হলে লালনের ভাষায় ফিরে যেতে হবে। তার কথা মানতে হবে। লালন তার কর্মকাণ্ড ও সৃষ্টির মাধ্যমে এই সমাজকে সুন্দর করতে চেয়েছিলেন। লালনের বাণীই পারে সমাজকে সুন্দর করতে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই আগত অতিথিদেরকে লালন একাডেমির পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া, ক্রেস্ট ও আত্মসুদ্ধির প্রতীক একতারা উপহার দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
আলোচনা সভা শেষে দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা শিল্পীরাসহ লালন একাডেমির স্থানীয় শিল্পী এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা লালন মঞ্চে লালন সঙ্গীত পরিবেশন করেন। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই সংগীত পরিবেশন।
স্মরণোৎসবের অনুষ্ঠানটি সার্বিক উপস্থাপনা ও পরিচালনা করেন খন্দকার লুৎফর রহমান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ
নিউজবাংলাদেশ.কম