কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? জামায়াতকে ইংগিত করে রিজভী
ছবি: সংগৃহীত
স্বাধীনতা যুদ্ধে একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দলের (জামায়াত) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, আজ একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল শুধু নিজেদের ও সেনাবাহিনীকে দেশপ্রেমিক দাবি করে। সশস্ত্র বাহিনী সবসময় দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু আপনারা নিজেদের যে দেশপ্রেমিক দাবি করেন, আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা কী ছিল, আপনারা কোন কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? কোন সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন?
সিলেটে বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরীর হুমায়ুন রশীদ চত্বরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আজ একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল শুধু নিজেদের ও সেনাবাহিনীকে দেশপ্রেমিক দাবি করে। সশস্ত্র বাহিনী সবসময় দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু আপনারা নিজেদের যে দেশপ্রেমিক দাবি করেন, আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা কী ছিল, আপনারা কোন কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? কোন সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন?”
এশিয়া কাপ বিজয়ী ক্রিকেটার ইকবাল হোসেন ইমনের পরিবারের হাতে উপহার তুলে দিতে এই অনুষ্ঠান হয়। আয়োজক ছিল ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “বিগত দিনে জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথর চেপে বসেছিল। মানুষ নিশ্বাস নিতে পারত না, স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারত না। রাজনৈতিক দল কর্মকাণ্ড চালাতে পারত না। পুলিশ অনুমতি দিলেও যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেওয়া হত।”
বিগত সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা গুম-খুনের অভিযোগের দ্রুত বিচার দাবি করে রিজভী বলেন, “এখন শুনছি আগামী এক বছরে মধ্যে শুধু জুলাই-অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে ইলিয়াস আলীকে গুম করার বিচার হবে না? বিগত ১৫ বছরের হত্যা-নির্যাতনের বিচার হবে না?
রিজভী বলেন, “আমাদের নেতা ইলিয়াস আলী দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে টিপাইমুখ অভিমুখে লংমার্চ করার কারণে শেখ হাসিনা তাকে নিরুদ্দেশ করে দেয়। সঙ্গে আরও সাড়ে ছয়শ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়। আমরা ভয়ংকর নির্যাতন মেনে নিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য রাজপথে লড়াই করেছি।
“আমাদের নেত্রীকে কারাগারে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলেই ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি