News Bangladesh

সুদীপ্ত শামীম, গাইবান্ধা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:১২, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যহীন দেশ গড়তে চাই: জামায়াত আমির

বৈষম্যহীন দেশ গড়তে চাই: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলাদেশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান বলেছেন, সকল ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন একটা দেশ গড়তে চাই; যে দেশে দখলবাজ, চাঁদাবাজী চলবে না। দুর্বলেরা সবল দ্বারা অত্যাচারিত হবে না। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা পাবে। সমতা-সাম্য কায়েম হবে। শহীদরা যে দেশ চেয়েছিলেন। তার বাস্তব নমুনা দেখাতে চাই।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের নামে বিনা ভোটে এমপিদের পাশ করানো হয়েছে। ২০১৮ সালে মিডনাইটের ইলেকশন এবং ২০২৪ সালে আমি আর ডামির নির্বাচন হয়েছে। পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদের দেশ প্রেমিক বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করে সীমান্ত চৌকিদার বিজিবি করেছে।

তিনি আরও বলেন, এতদিন বিনা ভোটে যারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে দেশের মালিক দাবি করেছিলেন তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর জনগণ দেশের মালিকানা ফিরে পেয়েছেন।

জামায়াত আমির বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে লাশের ওপর নৃত্য করেছিল আওয়ামী লীগ। এরপর পিলখানায় ৫৭ দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারকে হত্যা করে দুটি বাহিনীর মনোবল ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হলেও তার রিপোর্ট আজও প্রকাশ করা হয়নি।

জাতীয় নিবার্চন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নির্বাচন সংস্কার কমিটি হয়েছে। তারা কাজ করছেন। নির্বাচনের জন্য আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি। আরও কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরতে পারবো। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী বছরের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব হতে পারে। নির্বাচনের কাজ করতে সংস্কার কমিটির আরও একবছর সময় লাগবে। আমরা দেখতে চাই, তারা আন্তরিকতার সাথে কাজ করবেন। এ সংস্কার কাজে জামায়াত সহযোগিতা করবে। 

তিনি আরও বলেন, তৎকালীন সরকারের আমলে শাপলা চত্বরে রক্তের বন্যা বয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা এজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। সে বিচার আজও হয়নি। এই ঘটনায় নাটক সাজিয়ে তার দায়ভার বিরোধীদলের উপর দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পর জামায়াতের কোন নেতাকর্মী কোন নির্যাতন ও সম্পত্তি দখল করেনি। যদি এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে সেই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহীম সরকার ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ।

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকারের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ সরকার, নায়েবে আমীর মাজেদুর রহমান সরকার, সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ রোকুনুজ্জামান, ফয়সাল কবির রানা, গাইবান্ধা শহর আমীর একেএম ফেরদৌস আলম, হিন্দু নেতা মিলন ভট্টাচার্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুহিদ আহমেদ ফাহিম, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ওমর সানী আকন্দ, সেক্রেটারি ফেরদৌস সরকার রুম্মান প্রমুখ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়