মার্কিন দূতাবাসে গেলেন খালেদা জিয়া
মার্কিন দূতাবাসে বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
উন্নত চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রে যেতে ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে গেলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ২তা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে পৌঁছান।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে গিয়ে ‘বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ দিয়ে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বাসায় ফিরেন তিনি।
জানা গেছে, চিকিৎসার উদ্দেশে খালেদা জিয়া লন্ডন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার দেবেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মামুন আছেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আসছে ডিসেম্বরের মাসের শুরুতে চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়তে পারেন খালেদা জিয়া। প্রথমে তিনি লন্ডনে বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে যাবেন। সেখানে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি। সেই সময় খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের ডা. হ্যাডলি ব্যারির কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা নেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত মামলায় কারাগারে যান খালেদা জিয়া।
এরপর ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেয় সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার। তবে, তিনি রাজনীতি ও দেশের বাইরে যেতে পারবেন না— এমন শর্ত দেওয়া হয়। যার ফলে, কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। এ সময়ে বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া।
গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে পরদিনই খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন জানান, বেগম জিয়ার শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে অতি দ্রুত তাকে বিদেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অধ্যাপক জাহিদ জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি/এনডি