সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য আর মামলা-হামলা নয়: আমিনুল হক
গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভায়
সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য আর কখনোই মামলা-হামলা, জুলুম-নির্যাতন হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে হয়েছে সেখানে সুস্থ ধারার রাজনীতির পরিবেশ তৈরি হোক এবং সেটার অন্যতম মাধ্যম হবে গণমাধ্যম এবং আপনারা (গণমাধ্যম) কর্মীরা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন ফার্স রেস্টুরেন্টে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন দেশে আপনারা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠা তথ্য তুলে ধরবেন। আপনারা কোনো হামলা-মামলার শিকার হবেন না। আমরা আর অপরাজনীতি দেখতে চাই না। গত ১৭ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনে শুধু রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ রাজপথে ছিলেন না, সাংবাদিকরাও এই লড়াইয়ে ছিলেন। গত ১৭ বছর সাহসিকতার সঙ্গে রাজপথে থেকে নিউজ সংগ্রহ করেছেন, একইভাবে আগামী দিনেও থাকবেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বলেন, আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে প্রত্যেকের গায়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ প্রশাসনের যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল ডিবিতে, বিভিন্ন সেক্টরে আমাদের প্রত্যেকের শরীরে হাত তুলেছিল। আমরা এই অপরাজনীতির বাংলাদেশ চাইনা। আমরা চাই যে স্বাধীন বাংলাদেশ হয়েছে, নতুনভাবে স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে সেই স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে নতুনভাবে, নতুন সমাজ, সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা একটি সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আন্দোলনের লড়াই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা গত ১৭ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমাদের ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। আমাদের প্রায় ৭০০ উপরে নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। এবং তারই ধারাবাহিকতায় গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থান হয়েছে। সেই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার নানা কায়দায় গণমাধ্যমের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিলো। তারা বলেছে কোন নিউজ করা যাবে, কোন নিউজ করা যাবে না। মসজিদের ইমামকেও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল সে কী পড়বে কী পড়বে না।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছি। স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশের আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- স্বাধীন গণমাধ্যম, সত্য, বস্তুনিষ্ঠতা তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরবেন। এর জন্য ভবিষ্যতে আর কখনোই হামলা-মামলা, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হতে হবে না আপনাদের।
এসময় আরও উপস্থিত মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, জামান এসএম জাহাঙ্গীর, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, দপ্তর সম্পাদক এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, ডিআরইউ'র সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী, নয়াদিগন্তের সিনিয়র রিপোর্টার মঈন উদ্দিন খান, আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার নজরুল ইসলাম, সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার কামরুল হাসান, কালবেলার সিনিয়র রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম, মাই টিভি প্রধান প্রতিবেদক মাহবুব সৈকত প্রমুখ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি