আমাদের প্রত্যাশা অল্প সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন: ফখরুল
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অল্প সময়ের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন এটা আমাদের প্রত্যাশা।
পরিবর্তন বা সংস্কার যুগোপযোগী করতে হবে। আমরা কঠিন এক সময় পার করছি। আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করলে রাষ্ট্র বিপদে পড়ে যাবে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর ডিআরইউতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটি একটি সন্ত্রাসী দল। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে সরানোর জন্য খালি হাতে লড়াই করে প্রমাণ করেছে, জনগণ সম্পৃক্ত হলে সব সম্ভব। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় কাজ হলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে হত্যা আর লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী শাসনের ১৬ বছরের জঞ্জাল এত অল্প সময়ে, সব মানুষকে ভালো করা সম্ভব না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন যে, ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। ঘুষ খায় না এমন লোক দেশে খুঁজে পাওয়া কঠিন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,
আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। আমরা সবাই রাজনৈতিক কর্মী। আমরা রাজনীতি করি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। অল্প সময়ের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন এটা আমাদের প্রত্যাশা।
জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে একেবারেই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। সরকার চেষ্টা করছে। তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা) একেবারেই কিছুই করেননি, এটা ঠিক না। সার্চ কমিটি করেছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, কমিটির তৈরির আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন-এমন অভিমতও ব্যক্ত করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এ সরকারের ভিন্ন কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। প্রধান উপদেষ্টা ড. মহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে বলি, মানুষ আপনাকে ভালোবাসে। খেয়াল রাখবেন, মানুষের কাছে এ জায়গাটি যেন আপনার নষ্ট না হয়। আমরা প্রত্যাশা করব, কমিটির সদস্যরা দ্রুতই রিপোর্টগুলো জনগণের সামনে উন্মুক্ত করবেন। সুতরাং এমন কিছু করা যাবে না, যা দেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়।
চক্রান্ত এখনও শেষ হয়নি। ফ্যাসিস্টরা চেষ্টা করছেন -এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পরিবর্তন বা সংস্কার যুগোপযোগী করতে হবে। আমরা কঠিন এক সময় পার করছি। আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করলে রাষ্ট্র বিপদে পড়ে যাবে। এ স্বাধীনতাকে ধরে রাখার দায়িত্ব তরুণদের। এ সরকারের পলিটিক্যাল লোক নেই। রাজনীতিবিদ ছাড়া কোনো সংস্কার হয় না। বাংলাদেশের রাজনীতি সহজ নয়। আমরা ধৈর্য্যের সঙ্গে কাজ করছি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি