‘হাসিনা-খালেদা গোঁ ধরলে সমাধান হবে না’
রংপুর, প্রতিনিধি: হাসিনা-খালেদা ছাড়া চলমান সঙ্কটের সমাধান সম্ভব নয়। তাদের হাতেই সমস্যার সমাধান। নির্বাচনের নিয়ম হচ্ছে, একদল জিতবে আরেকদল হারবে। কিন্তু বিএনপি-আওয়ামী লীগ এ নীতি মানে না। তাদের দাবি, তালগাছটা আমার। এরকম গোঁ ধরলে সমস্যার সমাধান হবে না।
আজ শনিবার চার দিনের সফরে তিনি রংপুরে গেছেন। সৈয়দপুর বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান দলের নেতাকর্মীরা। তার নিজ বাড়ি পল্লীনিবাস বাসভবনে দুপুওে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এরশাদ এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, গণতন্ত্রের জন্য ৯০ সালে ক্ষমতা ছেড়েছি। এরপরও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যে সরকার ক্ষমতায় গেছে মুখে তারা গণতন্ত্রের কথা বললেও কাজে গণতন্ত্র দেখায়নি। একথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
এরশাদ বলেন, শুধু জাতীয় পার্টির শাসনামলে ৯ বছর দেশের মানুষ শান্তিতে ছিল। সে সময় নিত্যপণ্যের দামও ছিল সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। তখন দিনেরাতে মানুষ নিরাপদে চলাফেলা করত।
এরশাদ আরো বলেন, এখন মানুষ নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে না। আর তাই দেশের প্রধান দুই দলকে সাধারণ মানুষ আর চায় না। তারা চায় জাতীয় পার্টির সরকার। আমরা সে লক্ষ্যেই দল গোছানোর কাজ এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছি।
এ সময় এরশাদ প্রশ্ন ছুড়ে দেন, হরতাল-অবরোধে মারা যাচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ। এটা কেমন গণতন্ত্র? কোন ধরনের আন্দোলন? সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে কোনো রাজনীতি হয় না।
এরশাদ জানান, এ রাজনীতি আমরা চাই না। আমরা চাই দেশের মানুষ শান্তি নিয়ে নিরাপদে জীবনযাপন করুক। দেশ এগিয়ে যাক।
এরশাদ এসময় মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, সধানের পথ কী তা কেউ জানে না। এ বিষয়ে হাসিনা-খালেদাই বলতে পারবেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বৈধ হয়েছে। এ কারণে তারা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু আমি ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর একটা সংসদও কার্যকর হয়নি। প্রতিটি সংসদে বিরোধী দল অনুপস্থিত ছিল।
পল্লীনিবাস ভবনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, এরশাদের ছোটভাই জি এম কাদের, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাবেক সাংসদ মোফাজ্জল হোসেন, মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান প্রমুখ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম