হাসিনার কথা শোনার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল: খালেদা
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ৫ জানুয়ারি মহাকারসাজির নির্বাচনী প্রহসনের প্রাক্কালে শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিতে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।
শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টায় গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হলো- সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাক্ষার জন্য এটি একটি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। কিন্তু শেখ হাসিনা অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছেন। তারা প্রতিশ্রুতির নামে যৌথবাহিনী দিয়ে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, “সরকার গুম, খুন, হত্যার মাধ্যমে দেশে এক বিভীষিকাময় অবস্থা কায়েম করেছে। রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত পল্লী পর্যন্ত চলছে এ হত্যা ও তাণ্ডব।”
দেশে রাজনীতি করার স্বাভাবিক অধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “আমরা বারবার আলোচনার আহ্বান জানিয়েছি। কারণ আমরা শান্তি ও সমঝোতায় বিশ্বাস করি। অতীতেও আমরা সমঝোতার জন্য সবসময় এগিয়ে গিয়েছি। কিন্তু তারা বরাবরই সংঘাত ও সংঘর্ষের পথ বেছে নিয়েছে। এবারেও তারা অস্ত্রের ভাষায় আমাদেরকে দমিয়ে রাখতে চেয়েছে।”
খালেদা জিয়া আরো বলেন, “কোনো নাগরিক সমঝোতার কথা বললেই তাদের অপমান ও লাঞ্ছিত করে তারা। আমরা আলোচনার জন্য সাত দফা প্রস্তাব করি, তারা তা নাকচ করে। এ পরিস্থিতিতে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ খোলা রাখা হয়নি। ফলে আমরা আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছি।”
কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকার বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “ ৫ জানুয়ারি আমরা গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করার ঘোষণা দেই। কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা ৩ জানুয়ারি থেকে দেশ অবরুদ্ধ করে ফেলে। আমাদের কর্মসূচির আগের রাতেই আমাকে এ কার্যালয়ে বালু ও ইট বোঝাই ট্রাক, জল কামান ও সাঁজোয়া যান দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ৫ জানুয়ারি সমাবেশের যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে বের হতে চাইলে বাধা দেয়া হয়। আমিসহ নেতা কর্মীদের দফায় দফায় পিপার স্প্রে মারা হয়।”
‘এর আগে গাজীপুরে আমার সমাবেশ ১৪৪ ধারা জারি করে বন্ধ করে দেয়া হয়’ বলেও উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/এমএম
নিউজবাংলাদেশ.কম