নেতারা আত্নগোপনে, কর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান
ঢাকা: নিজেরা আত্নগোপনে থাকলেও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা মহানগরের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ও সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, “২০ দলের জনসম্পৃক্ত আন্দোলনের ফলে সারাদেশ অচল হয়ে পড়েছে। রাজধানী বিচ্ছিন্ন। তারপরও সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে বন্ধুর পথে হাটছে। কার্যত এরা এখন টিকে আছে দোষারূপমূলক বক্তব্য দিয়ে।”
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস আন্দোলনে ঢাকা মহানগরের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানান তারা।
তারা বলেন, “অনির্বাচিত, অবৈধ সরকার পতনের চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা এখন দিশেহারা, উদভ্রান্ত। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চলমান আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। শত অন্যায়, নিপীড়ন, জুলুম সহ্য করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন বিকল্প পথ এখন আর খোলা নেই।”
ঢাকা মহানগরসহ দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ধৈর্য্য সহকারে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জঙ্গিনেত্রী ও তাকে শাস্তি দেওয়ার যে হুমকি দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মির্জা আব্বাস ও হাবিব উন নবী খান সোহেল নেতৃদ্বয়। তারা বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। নিজেদের দোষ এখন তারা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। অথচ জোট আমলে বেগম জিয়াই এ দেশ থেকে জঙ্গি নির্মূল করেছেন।”
তারা বলেন, “জনবিচ্ছিন্ন সরকার ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণের মনোভাব তারা পরোয়া করছেন না।”
সরকারের জনসমর্থন শুন্যের কোঠায় জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, “এখন তারা অন্যায় অত্যাচার এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর নির্বিচারে গুলি, ক্রসফায়ার, হত্যাকান্ড চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।” এই অমানবিক নীতি থেকে সরে এসে দ্রুত গণতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান তারা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/আরআর/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম