সিটি নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী যারা
ঢাকা: সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিবে কিনা তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে চলছে জোর আলোচনা-সমালোচনা। অংশ নেয়ার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিচ্ছেন অনেকেই।
এ অবস্থায় নির্বাচনের বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগা দলটি খুব শিগগিরই তাদের অবস্থান জানাবে বলে জানা গেছে।
তবে থেমে নেই তিন সিটির সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থীদের লবিং।
জানা গেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে দলের অবস্থান ইতিবাচক হবে- এমনটা ধরে নিয়েই নিজেদের মতো করে দলীয় পরিমণ্ডলে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভেতরে ভেতরে প্রার্থীর নাম প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছেন ঢাকা উত্তরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ, দক্ষিণে দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও চট্টগ্রামে বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তবে হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস ও আমির খসরুর ‘ব্যাকআপ’ হিসেবে রয়েছেন যথাক্রমে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম। এছাড়া ঢাকা উত্তরে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক কারাবন্দি মাহমুদুর রহমান মান্নাকেও সমর্থন দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। উত্তরে মেয়র পদে ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ কাইয়ুমও জোর লবিং চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লা বুলুকে প্রার্থী হিসেবে চিন্তা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা দুজন ওই এলাকার ভোটার না হওয়ায় সে চিন্তা বাদ দেওয়া হয়। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তবে বিএনপি কারাবন্দি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকেও সমর্থন দেওয়া হতে পারে। একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পিন্টুর প্রার্থী হওয়ার আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। শেষ পর্যন্ত পিন্টু নির্বাচন করতে না পারলে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলও প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম মনজুর আলমকে আবারও দেখা যেতে পারে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে। তবে বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে মেয়র মনজুর আলমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই অভিযোগে তার পরিবর্তে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র পদে সমর্থন দেয়া হতে পারে।
সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘এটা ঠিক, কিছুসংখ্যক লোকের আগ্রহ আছে। আবার কিছু লোকের আপত্তিও আছে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করে লাভ কী? তো এ ব্যাপারে কথাবার্তা যে হচ্ছে না, তা না। কিন্তু এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আশা করছি, শিগগিরই হয়তো সিদ্ধান্ত হবে।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/আরআর/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম