যুবলীগ নেতাকে ‘ধরে নিয়ে গুলি’

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কবির হোসেন নামে এক ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে কবির একজন ডাকাত এবং তিনি ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কবিরের দাবি, তাকে ধরে নিয়ে গুলি করা হয়েছে।

রোববার গভীর রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার রতনেরখিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কবির উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের মৌটুবী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে ও স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।

পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় কনস্টেবল শর্মা নন্দ শীলসহ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধারের দাবিও করেছে পুলিশ।

ঘটনার পর গুলিবিদ্ধ কবিরকে রাতেই সদর হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় ভর্তি করা হয়। কবিরের দাবি, পুলিশ মান্দারী থেকে তাকে ধরে নিয়ে পায়ে গুলি করেছে।

পুলিশ এবং স্থানীয়রা উল্লেখ করেন, রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার টইল পুলিশ দল রতনেরখিল এলাকায় যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত বাশার বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। ঘটনার সময় পুলিশ প্রায় ১৫/২০ রাউন্ড গুলি করে বলে জানায়। এতে কবির গুলিবিদ্ধ হলে ঘটনাস্থল থেকে তাকে একটি এলজি ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার ও তাকে আটক করে পুলিশ।

ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
এদিকে জেলার রায়পুর উপজেলার দোয়েতপুরে একই রাতে দুর্বৃত্তরা ইকবাল হোসেন নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে রাতেই রায়পুর হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

ইকবাল মৌটুবী এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ