News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ২১ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৫:২৩, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

১০ বছর পর জেলা আ.লীগ সম্মেলন

১০ বছর পর জেলা আ.লীগ সম্মেলন

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গঠনতন্ত্রে প্রতি তিন বছর পর জেলা সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও ১০ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ সম্মেলন।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে শহরের ওয়াজির আলী হাইস্কুল মাঠে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সম্মেলনকে ঘিরে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক রঙিন ব্যানার, তোরণ, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিছিল-স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছে রাজপথ। সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা প্রতিদিন শোডাউন করছেন, স্থাপন করেছেন ক্যাম্প অফিস। সেখানে ভিড় করছেন দলীয় কর্মী সর্মথকরা।

দলীয় সূত্র মতে, ২০০৫ সালের ২৫ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সরাসরি ভোটে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাই সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কাউন্সিলের ৬ বছর পর ২০১১ সালে ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়।

এদিকে ১৯ মার্চ শৈলকুপা উপজেলা কমিটির সম্মেলন হয়েছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা হয়নি। জেলার কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার সম্মেলন কয়েক বছর আগে অনুষ্ঠিত হলেও আজ পর্যন্ত জেলা কমিটির অনুমোদন পায়নি।

এছাড়া ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুন্ডু এবং কালীগঞ্জ উপজেলায় যথাসময়ে সম্মেলন হয়নি। পৌরসভাগুলোর মধ্যে সম্প্রতি কালীগঞ্জ পৌর কমিটির সম্মেলন হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার সম্মেলন করার আগেই ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলনে গোলযোগের ঘটনা ঘটেছে। দলীয় কোন্দল থাকায় সবগুলো ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং উপজেলা কমিটির সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে দায়িত্বশীল একটি সূত্র।

এ অবস্থায় বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবার সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান সভাপতি আবদুল হাই, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল ওয়াহেদ জোয়ারদার এবং অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক আবেদ আলীর নাম শোনা যাচ্ছে।

সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ও পৌরমেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী এনামুল হক মিলন। এ দুটি গুরত্বপূর্ণ পদের যেকোনো একটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য সফিকুল ইসলাম অপু।

দলীয় একাধিক সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, জেলা কমিটির সম্মেলনকে ঘিরে ঝিনাইদহ-২ আসনের বর্তমান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি দূর থেকে কলকাঠি নাড়ছেন। ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটিগুলোর ওপর তার পিতা সাবেক সংসদ সদস্য শিল্পপতি নুর-এ আলম সিদ্দিকীর বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই জানান,  “সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। নেতাকর্মীদের সমাগম এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করতে প্রস্তুত জেলা আওয়ামী লীগ।”

জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দুমেয়াদের মধ্যে বিভিন্ন নির্বাচন এবং বিরোধী জোটের আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলায় নেতাকর্মীরা ব্যস্ত থাকায় যথাসময়ে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, “সিলেকশন নয়, ইলেকশনের মধ্য দিয়ে নেতা নির্বাচন করা গেলে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ


নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়