করোনা রিপোর্ট অনুযায়ী খালেদার জন্মদিন ৮ মে: কাদের
করোনা টেস্ট রিপোর্টে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আসল জন্মদিনের সঠিক তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন,‘একাধিক জন্মদিনের নামে জাতিকে এতোদিন বেগম জিয়া অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিলো। প্রকৃত অর্থে তার জন্মদিন করোনা টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী ৮মে।’
সোমবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ১৩টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও খাদ্য সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দীর্ঘদিন মানুষ অসত্যের সাথে চলতে পারে না,পারেনা সত্যকে লুকিয়ে রাখতে,হাতের তালু দিয়ে যেমন আকাশ ঢাকা যায় না, তেমনি সত্যকেও কখনো আড়াল করে রাখা যায় না। পৃথিবীর ইতিহাসে এক নির্মম, বেদনাদায়ক হত্যাকান্ড ১৫ আগস্ট, অথচ কতটা নিষ্ঠুর হলে এই দিনে বেগম জিয়া এতোদিন তার ভূয়া জন্মদিন পালন করে আসছিলো।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার ভূয়া জন্মদিন পালন করা জাতির পিতার হত্যাকারীদের উৎসাহিত করা এবং নির্মম হত্যাকান্ডকে উপহাস করারই শামিল। বিএনপি নেত্রী কি পারতেন না শোকাবহ ১৫ আগস্টে ভূয়া জন্মদিনের অনুষ্ঠান না করতে?
বিভিন্ন সময়ে জন্মদিন পালনকারী বেগম জিয়ার জন্মদিন বিষয়ক আসল সত্য তিনি নিজেই উন্মোচন করেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বেগম জিয়া কেক কেটে উৎসবের সাথে ভূয়া জন্মদিন পালন করতেও দেখেছে জাতি।
বেগম জিয়ার মেট্রিকুলেশন সনদ অনুযায়ী জন্মদিন ৯ আগস্ট ১৯৪৫। বিবাহ সনদ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫। পাসপোর্ট সনদ ১৯ আগস্ট ১৯৪৫। আবার দাবি করেন ১৫ আগস্ট ১৯৪৫ তার জন্মদিন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন একজন মানুষের এতগুলো জন্মদিন থাকা নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্য এখন নতুন করে বেগম জিয়াই উন্মোচন করেছেন।
তিনি বলেন, অবশেষে করোনা টেস্টের জন্য দেয়া তথ্যে জানা গেল বেগম জিয়ার জন্মদিন ৮ মে ১৯৪৬।
স্বপরিবারে জাতির পিতার হত্যা দিবসে ভূয়া জন্মদিন পালন করা কতটা নিষ্ঠুর ও বিদ্বেষ প্রসূত রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ তা বলার অপেক্ষা রাখে না বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা এখনো বেগম জিয়ার চিকিৎসার চেয়ে রাজনীতিকে অধিক মনোযোগ দিচ্ছেন। বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার মুক্তি এবং চিকিৎসা নিয়ে এর আগেও রাজনীতি করেছেন এখনো করছেন।
তিনি বলেন, আমরা তার রোগমুক্তি অবশ্যই কামনা করি, তার বয়স বিবেচনায় এবং চিকিৎসার সুবিধার্থে মানবিক নেতৃত্ব শেখ হাসিনা সাজা সাময়িক স্থগিত করেছিলেন।
ওবায়দুল কাদের মানুষকে করোনায় সচেতন হতে সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মীদের ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার আহবান জানিয়ে বলেন, সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ঈদ উৎসব যাতে অন্তিম উৎসবে পরিণত না হয় সেদিকেও সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও ড. আবদুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস