হাসিনা পদত্যাগ করলেই শান্তি: খালেদা
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করলেই চলমান সঙ্কটের সুরাহা হবে। একতরফাভাবে তারা যে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী করেছে, একতরফা ভাবেই তারা তা বাতিল করে দিতে পারে। সঙ্কট নিরসনের জন্য ১৯৯৬ সালে আমরা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন করে সংবিধান সংশোধনের পর পদত্যাগ করেছিলাম। এখন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।
শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টায় গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, “সঙ্কট সমাধানের পথ ক্ষমতাসীনদের হাতে। এর সমাধান হলেই জাতির ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারবো। আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সঙ্কট দ্রুত সমাধান হবে। কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা প্রতিনিয়ত আমাকে জেল জুলুমের ভয় দেখাচ্ছে। এসব করে কোনো লাভ হবে না।”
আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “বোমা ককটেল মেরে, পিটিয়ে তারা বহু মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের সন্ত্রাসী কারণে এসএসসি পরীক্ষা তিনমাস পেছাতে হয়েছিলো। যমুনা সেতু নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের সময়ও তারা হরতাল দিয়েছে। আন্দোলনের নামে জামায়াত ও জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর, রেল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়েছে, লাশের উপর নৃত্য করেছে। এসব পৈশাচিক কাণ্ডের নির্দেশ শেখ হাসিনা নিজেই দিয়েছেন। এসবের দালিলিক প্রমাণও রয়েছে।”
সন্ত্রাসের দানব আ.লীগ আন্দোলন শুরুর পর থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তার বিরোধীদলের নেতা কর্মীদের গুম, খুন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গুলিতে রিয়াজ রহমানের মতো ব্যক্তি আহত হন। তরিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তারা ১০ হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে। রিজভীকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে।”
সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করে গত তিনদিনেও সরকার স্বীকার করেনি উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “মান্নার ব্যাপারেও সরকার প্রথম অস্বীকার করে। পরে নাটক সাজিয়ে ২১ ঘণ্টা পর গ্রেফতার দেখায়। আমি বিএনপি ও ২০ দলের পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এর পরিণতি শুভ হবে না। আর আমাকে কত হীনপন্থায় হয়রানি করা হচ্ছে, আমি তার বিবরণ দিতে চাই না।”
খালেদা জিয়া বলেন, “বিএনপি ও ২০ দল নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করার ভয়ঙ্কর রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমি এসব ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দিতে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলেও খালেদা জিয়া কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। সবশেষে তিনি “এ আন্দোলনে জনগণ শরিক হয়েছে। জনগণের সমর্থন পেয়েছি” বলে সংবাদ সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/এমএম
নিউজবাংলাদেশ.কম