News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১২ মে ২০২০
আপডেট: ০৪:২৮, ১৫ মে ২০২০

কারামুক্তির পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রথমবার দেখা করলেন ফখরুল

কারামুক্তির পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রথমবার দেখা করলেন ফখরুল

কারামুক্তির পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর করোনা পরিস্থিতিতে কিছু দিন আগে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

কারামুক্তির পর থেকে স্বেচ্ছা হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। এক মাসের বেশি সময় ধরে জামিনে থাকলেও চিকিৎসক ছাড়া দলীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি।

গত সোমবার রাত ৯টায় তিনি রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় যান। সোয়া এক ঘণ্টাব্যাপী দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়। বিএনপি মহাসচিব এ সময় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। খালেদা জিয়াও মহাসচিবের কুশলাদি জানতে চান।

এ সময় বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়েও কথাবার্তা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে বের হয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনো বক্তব্য দেননি বিএনপি মহাসচিব। তাই প্রায় আড়াই বছর পর দুই নেতার বৈঠকে কী কথা হলো সে বিষয়ে রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি দেশবাসীর আগ্রহের কমতি নেই।

জানা গেছে, কুশলাদি জিজ্ঞাসার পাশাপাশি এই বৈঠকে দলের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খালেদা জিয়াকে অবহিত করেন মির্জা ফখরুল। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা দেশে কর্মহীন, দুস্থ মানুষের পাশে দলের নেতাকর্মীদের দাঁড়ানোর বিষয়ে দলের প্রধানকে জানান মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও পরিস্থিতিও তুলে ধরেন দলের চেয়ারপারসনের কাছে। চেয়ারপারসন সেগুলো মন দিয়ে শোনেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

এ সময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের করোনা পরিস্থিতি, চিকিৎসা, কৃষি উৎপাদন পর্যবেক্ষণসহ দলের ত্রাণ তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিএনপি ‘জাতীয় করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সেল’ এবং বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদককে প্রধান করে বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে কমিটি গঠন করার বিষয়েও খালেদা জিয়াকে অবহিত করা হয় বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া রাজধানীসহ সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১২ লক্ষাধিক কর্মহীন ও দুস্থ মানুষকে জরুরি খাদ্য সহযোগিতা দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের চিঠি দেয়ার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।

প্রসঙ্গত সরকারি আদেশে গত ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে ছয় মাসের জামিনে সাময়িক মুক্তি পান খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাসের কারণে টানা দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নেন তিনি। তবে দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে পারিবারিক সদস্য ছাড়া আর কেউ তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাচ্ছেন না। এই সময়ে ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও পরিবারের নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাড়া দেখা করেননি কারও সঙ্গে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/কেএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়