News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:২৬, ১২ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ২৩:৪১, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

খালেদা জিয়া উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ

খালেদা জিয়া উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ

ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ‘গ্রেফতারের’ কথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অস্বীকার করায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

বিবৃতিতে বেগম জিয়া বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার, আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির না করা এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আটক করার কথা অস্বীকৃতির ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং ক্ষুব্ধ।”

তিনি বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের পর থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদ দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের হয়ে কেউ কথা বললেই বর্তমান শাসক গোষ্ঠী তাকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় জাড়িয়ে দেয়ার এক স্বৈররীতি চালু করেছে। সে কারণে সালাহ উদ্দিন আহমেদ গ্রেফতার এড়িয়ে দল-জোটের পক্ষ থেকে বক্তব্য-বিবৃতি প্রদান ও কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছিলেন। এতে ক্ষমতাসীনেরা যে তার ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিল তা তাদের শীর্ষ পর্যায় থেকে ব্যক্ত ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট হয়েছে।”

বেগম জিয়া বলেন, “আইন-শৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে গত মঙ্গলবার রাতের আঁধারে দরজা ভেঙে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে চোখ বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে তুলে নেয়ার ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের সেই ক্রোধেরই বহির্প্রকাশ ঘটেছে। সালাহ উদ্দিন আহমেদকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ গ্রহণে পুলিশের অস্বীকৃতিরও আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এখন দেশে আইন যে স্বাভাবিক গতিতে চলছে না, এটা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। জাতীয় পর্যায়ের একজন রাজনীতিকের ক্ষেত্রে যেখানে এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সেখানে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা যে কতখানি অনিশ্চিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।”

জনপ্রতিনিধিত্বহীন শাসক গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাচারিতা দেশে এখন এক চরম অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যাকে যখন ইচ্ছা গ্রেফতার, অপহরণ, গুম ও খুন করা হচ্ছে। গ্রেফতারের পর অনেকের লাশ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকের হদিসও মিলছে না। বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমসহ সারা দেশে শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের পর অস্বীকারের উদ্বেগজনক প্রবণতাও এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদের ঘটনায় আমরা দারুণভাবে উৎকণ্ঠিত। ক্ষমতাসীনেরা এর দায় এড়াতে পারে না এবং তাদের কোনো কৈফিয়ৎ কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হবে না।”

বেগম জিয় গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে বলেন, “সালাহউদ্দিন আহমেদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় আমি সেই মুনাজাত করছি। অনতিবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। বিবেকবান প্রতিটি নাগরিক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ করছি, এ ধরনের সীমাহীন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/আরআর/এএইচকে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়