News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক  || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

এইচএমপিভি সতর্কতা: শাহজালাল বিমানবন্দরে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

এইচএমপিভি সতর্কতা: শাহজালাল বিমানবন্দরে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

চীনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব স্টেকহোল্ডারকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম দেশের সব এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশনার বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিশেষ ওই নির্দেশনায় বলা হয়, হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক বা উদ্বেগের কোনও তাৎক্ষণিক কারণ নেই, সচেতনতা বজায় রাখা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করলে এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব স্টেকহোল্ডারদের হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

স্টেকহোল্ডারদের জন্য নির্দেশনা: প্রয়োজনে বিমানবন্দর প্রাঙ্গণে সমস্ত যাত্রী, কর্মী এবং দর্শনার্থীদের ফেস মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করা। জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো এইচএমপিভির যেকোনও লক্ষণ পাওয়া গেলে, তাৎক্ষণিকভাবে শাহজালালের স্বাস্থ্য বিভাগে রিপোর্ট করা। 

বিমান সংস্থাগুলোর জন্য নির্দেশনা: ভ্রমণের উৎসস্থলে, বিশেষ করে সন্দেহভাজন দেশগুলো থেকে আগত ফ্লাইটগুলোর জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা; যদি কোনো যাত্রীর মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয় অথবা ফ্লাইটে কোনো সন্দেহজনক রোগী থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে শাহজালালের স্বাস্থ্য ইউনিটকে অবহিত করা; কেবিন ক্রু এবং যাত্রীরা নির্দেশিকা সম্পর্কে অবগত আছেন কি না তা নিশ্চিত করা।

স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য নির্দেশনা: সন্দেহজনক লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা। এসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য স্টেকহোল্ডারদের সহায়তা ও তথ্য প্রদান করতে বলা হয় চিঠিতে।

চিঠিতে আরও লেখা হয়, রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এই ভাইরাস ফ্লুর মতো অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে, যা সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যায়। অতএব আসুন আমরা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকি। সবাইকে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করার এবং নিরাপদ থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়