News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক  || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:৫২, ৫ জানুয়ারি ২০২৫

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যমুনা রেলসেতুতে চললো ট্রেন, চলবে পূর্ণ গতিতে 

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যমুনা রেলসেতুতে চললো ট্রেন, চলবে পূর্ণ গতিতে 

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর যমুনা নদীর বুকে নির্মিত দেশের বৃহৎ রেলসেতুতে চললো ট্রেন। যমুনা নদীর ওপর নির্মিত এই ট্রেন লাইন উওরাঞ্চলবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) যমুনা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতু দিয়ে ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলেছে ট্রেন। এ দিনই ট্রেন ঘণ্টায় পূর্ণ ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলানো হবে।

যমুনা রেলওয়ে সেতুর চিফ সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সকাল ৯টা ২০ মিনিটে প্রথম পরীক্ষামূলক দুটি ট্রেন সফলভাবে সেতু অতিক্রম করে। এরপর পর্যায়ক্রমে চলছে। আজই পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ণ ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে। প্রথমে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে দুটি ট্রেন সেতুর পূর্ব পাড় থেকে পশ্চিম পাড়ে ও পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে ছেড়ে যায়। এরপর ১০টা ২০ মিনিটের দিকে দ্বিতীয়বার ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে দুই পাশ থেকে ট্রেন দুটি সেতু অতিক্রম করে। এরপর ১১টা ১ মিনিটে একটি ট্রেন সেতু পশ্চিম পাড় থেকে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে ওঠে ও ১১টা ৫ মিনিটে পূর্ব পাড় থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি পশ্চিম পাড়ের সেতুর শেষ অংশ অতিক্রম করে। 

মাইনুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই অধীর আগ্রহে সেই পূর্ণ গতির অপেক্ষায় আছি। সত্যি বলতে গেলে আমরা খুব আনন্দিত এবং উত্তেজিতও বলা যায়। কয়েকটা বছরজুড়ে আমাদের এত বড় টিমের বিশাল কর্মযজ্ঞের পর আজ এর পূর্ণতা পেল। দেশের সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেন চলবে এখানে। এটা আমাদের জন্য মাইলফলক। 

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৯ হাজার ৭৩৪ দশমিক ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ১২ হাজার ১৪৯ দশমিক ২ কোটি টাকা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিয়েছেন। 

এ প্রকল্পের মূল নির্ধারিত সময় ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩। কিন্তু প্রথম সংশোধনে এ সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২৪ এ স্থানান্তরিত করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়