News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক  || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:০৪, ৫ জানুয়ারি ২০২৫

বিশ্বের ১২৬ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর ঢাকা

বিশ্বের ১২৬ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর ঢাকা

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

প্রতি বছরই শীতকালে বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরের তালিকায় উঠে আসে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নাম। এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয়।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকার বাতাসে ভয়াবহ বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা বিশ্বের ১২৬টি শহরের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

ঢাকার বায়ুমান সকালের হিসাবে ৪৪৫ পরিমাপ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার বায়ু মান স্কোর এতটা বেশি দেখা যায়নি। এ তালিকায় ইরাকের বাগদাদ, ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের দিল্লি এবং পাকিস্তানের করাচিও রয়েছে। 

এ ছাড়া একই সময়ে একিউআই স্কোর ৪৪৪ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ইরাকের বাগদাদ। ২৪৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের করাচি। ২১৬ স্কোর নিয়ে ভিয়েতনামের হ্যানয় চতুর্থ। 

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার জানায়, ঢাকার বাতাসে প্রধান দূষণের উৎস অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম ২.৫), যা শ্বাসতন্ত্র, হৃদ্‌রোগ এবং ক্যানসারের মতো গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে। 

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, ৫০-এর নিচে বায়ুমান বিশুদ্ধ, ৫১-১০০ সহনীয়, ১০১-১৫০ সতর্কতামূলক এবং ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়। ঢাকার বায়ুমান বর্তমানে ওই বিপজ্জনক সীমার বাইরে।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। 

বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যে, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের কারণে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ঢাকার দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে। তারা সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানায়। আরও কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেমন ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করতে হবে, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করতে হবে এবং পুরোনো যানবাহন রাস্তায় বের না করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

এদিকে, ঢাকার বায়ুমান গত বছর থেকে আরও ১০ শতাংশ খারাপ হয়েছে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়