৭ তারিখের পর রাতের তাপমাত্রা নামতে পারে ১০ ডিগ্রিতে
ছবি: নিউজবাংলাদেশ
বছরের শুরুতে দাপট দেখাতে শুরু করেছে শীত। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্র বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে আরও দুই থেকে তিনদিন। এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে এর চেয়েও খারাপ হতে পা পরে পরিস্থিতি। জানুয়ারির ৬ থেকে ৭ তারিখের পর রাতের তাপমাত্রা কমে নেমে আসতে পারে ১০ ডিগ্রির নীচে। এরপর কুয়াশে কেটে শৈত্যপ্রবাহ দাপট দেখাতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ।
বৃহস্পতিবার বজলুর রশীদ বলেন, “এরকম কুয়াশা আরও দুই-তিন দিন থাকবে। এই সময়ে ঠাণ্ডা এখনকার মতই থাকবে। এরপর কুয়াশা কেটে গেলে রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ কমে শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।”
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই যে শীত বাড়তে পারে, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন বেলা গড়ালেও রাজধানীতে সূর্যের দেখা মেলেনি; সেই সঙ্গে আছে মৃদু হাওয়া।
বজলুর রশীদ বলেন, “জানুয়ারির ৬ থেকে ৭ তারিখের পর রাতের তাপমাত্রা কমে ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে আসতে পারে।”
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে একটি থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি এবং একটি থেকে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিনের বেলায় শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে।
এছাড়া, কুয়াশার কারণে ব্যাহত হতে পারে জানবাহন চলাচল। জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দেওয়াসহ বাড়তে পারে শীতজনিত রোগ। একারণে প্রয়োজনীয় গরম কাপড় পরাসহ পরিবারে শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি